অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল আগামী ৭ দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন দুই রিটকারী আইনজীবী জারিন রহমান ও রাশিদা চৌধুরী নীলু।
আদেশে বলা হয়, ৯২টি প্রতিষ্ঠান ব্যতিত অননুমোদিত ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন সব নিউজ পোর্টাল বন্ধ করতে হবে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে বিটিআরসি চেয়ারম্যান ও প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
এদিকে, ঢাকা থেকে প্রকাশিত ৯টি বাংলা দৈনিক এবং একটি ইংরেজি দৈনিক পত্রিকার ঘোষণাপত্র (ডিক্লারেশন) বাতিল করা হয়েছে। ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষরে গত ৮ সেপ্টেম্বরে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে বলে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়।
ডিক্লারেশন বাতিল হওয়া পত্রিকাগুলো হলো- গণ আওয়াজ, দৈনিক জনসেবা, ঢাকা প্রকাশ, জাতির কণ্ঠ, কিষাণ, এই দেশ এই দিন, পূর্ব আলো, সময়ের পাতা ও রিপোর্টার।
তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, ১৯৭৩ সনের ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধন) আইনের ৯ (১) এর (৩) (ক) ধারা ভঙ্গ এবং পত্রিকাগুলোর প্রকাশক ও সম্পাদক চুক্তিপত্রের শর্ত না মানায় পত্রিকাগুলোর ঘোষণাপত্র বাতিল করা হয়েছে।
যেসব পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশিত হয় না, সেগুলো বন্ধের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, সে কথা গত মাসের শেষে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদও বলেছিলেন।
২৪ অগাস্ট এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এগুলো ভুতুড়ে পত্রিকা। এখানে নিয়োগকৃতদের বেতন দেওয়া হয় না, এরা চাঁদাবাজিসহ নানা কিছুতে লিপ্ত হয় এবং সেই বদনামটা সাংবাদিক সমাজের ওপর বর্তায়, যা কখনোই সমীচীন নয়। এজন্য আমরা ভুতুড়ে পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছি।’
ছাপানো সংবাদপত্রগুলো তাদের নথিপত্রে প্রচার সংখ্যার যে খতিয়ান দেয়, তার সঙ্গে ‘বাস্তবতার মিল খুঁজে পাওয়া যায় না’ বলেও এর আগে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে গতবছর ছাপানো পত্রিকাগুলোর প্রচার সংখ্যা তলানিতে নেমে যায়, বেশ কয়েকটি পত্রিকা ছাপানো বন্ধও রাখা হয়। এরপরেও অনেক পত্রিকা বিজ্ঞাপন পাওয়ার জন্য তাদের প্রচার সংখ্যা বেশি দেখিয়েছে বলে সে সময় তথ্য দিয়েছিলেন তিনি।