চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৪৯ নয়। ভুল সংশোধন করে নিহতের নতুন সংখ্যা ৪১ জন বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান সোমবার দুপুরে জানান, ‘কিছু মরদেহ চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে একবার গণনা করা হয়। আবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও সেগুলো গণনা করা হয়। তাতে সংখ্যা বেড়ে ৪৯ হয়ে গিয়েছিল।’
এদিকে, এখনো পুরোপুরি নেভেনি ডিপোর আগুন। জ্বলতে থাকা কয়েকটি গার্মেন্টস কন্টেইনারের পাশে একটি রাসায়নিক কন্টেইনার থাকার আশংকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দল।
বিস্ফোরণ ও আগুনে নিহতদের মধ্যে এ পর্যন্ত ২২ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিদের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করছে সিআইডি।
এদিকে, ডিপোর ভেতরে পশ্চিম পাশে থাকা কয়েকটি কন্টেইনারে সোমবার বিকালেও আগুন জ্বলতে দেখা যায়। রপ্তানি পোশাক ভর্তি ছয় থেকে সাতটি কন্টেইনারের পাশে চারটি রাসায়নিক ভর্তি কন্টেইনার শনাক্ত করা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দল কন্টেইনারের ভেতরের আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। কয়েকটি রাসায়নিক পদার্থ ভর্তি কন্টেইনার চিহ্নিত করা হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন উদ্ধারকর্মীরা।
বিস্ফোরণ ও আগুনে আহতদের মধ্যে ১০৩ জনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তাদের উন্নত চিকিৎসা ও পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডাক্তার সামন্ত লাল সেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল চট্টগ্রামে পৌঁছান। রোগীদের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন তারা।