প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কারো কাছে হাত পেতে নয়, নিজেদের মর্যাদা নিয়ে বাঁচতে হবে। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষ যেন ভালোভাবে বসবাস করতে পারে, সেজন্য একটা জায়গা করে দেওয়া হচ্ছে। এই উদ্যোগটা সর্বপ্রথম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিয়েছিলেন। জাতির পিতা মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল বাংলার মানুষ খাদ্য পাবে, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান পাবে।
আজ বৃহস্পতিবার (২১শে জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীন ২৬ হাজার ২২৯টি পরিবারকে জমিসহ গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্টের পর যখন দেশে ফিরি আমাদেরকে ৩২ নাম্বারের বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আমরা ৩২ নাম্বারের রাস্তায় বসে দোয়া পড়েছি, সবার মাগফিরাত কামনা করেছি।
মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা-একটি মানুষও গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না। এই লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে ২০২১ সালের ২৩শে জানুয়ারি জমির মালিকানাসহ ৬৩ হাজার ৯৯৯টি ঘর হস্তান্তর করা হয়। দ্বিতীয় পর্যয়ে ২০শে জুন জমির মালিকানাসহ ৫৩ হাজার ৩৩০টি ঘর হস্তান্তর করা হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মাণ করা একক ঘরের সংখ্যা ১ লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি। চলমান তৃতীয় পর্যায়ে মোট বরাদ্দ করা একক ঘরের সংখ্যা ৬৭ হাজার ৮০০টি, যার মধ্যে গত ২৬ এপ্রিল হস্তান্তর হয় ৩২ হাজার ৯০৪টি। আজ বৃহস্পতিবার (২১শে জুলাই) হস্তান্তর হবে ২৬ হাজার ২২৯টি। এছাড়া আরও নির্মাণাধীন রয়েছে ৮ হাজার ৬৬৭টি ঘর।
ঘরগুলোকে অধিকতর টেকসই করে গড়ে তোলায় প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ১ লাখ ৯১ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকায় উন্নীত করা হয়। ঘরগুলোকে বেশি টেকসই করে নির্মাণ করতে মজবুত কড়ি কাঠ, পাথরের সর্দল ও রিইনফোর্স কংক্রিট কলাম (আরসিসি) পিলার ব্যবহার করা হয়েছে।