রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন

হতাহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা জেলা পরিষদের

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : জুন ৫, ২০২২
হতাহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা জেলা পরিষদের
হতাহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা জেলা পরিষদের

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ ৩৩ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ডিপোতে কোনো পানির উৎস না থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে।

প্রাথমিকভাবে নিহতের পরিবারদের ৫০ হাজার ও আহতদের ২০ হাজার করে টাকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেলা পরিষদের।

শনিবার (৪ জুন) দিবাগত রাতে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধসহ আহত হয়েছেন ২ শতাধিক। আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কমপক্ষে ২১ জন কর্মী। এছাড়া এক পুলিশ কনস্টেবলের পা বিচ্ছিন্নসহ অন্তত ১৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ১৩০ জনকে। আহত আরও অনেককে হাসপাতালে আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আহতদের চিকিৎসায় অনেক রক্তের প্রয়োজন। দগ্ধদের সহায়তায় রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো।

শনিবার (৪ জুন) দিবাগত রাতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন রক্তদাতা গ্রুপ তাদের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে সবাইকে স্বেচ্ছায় রক্তদানের আহ্বান জানায়।

কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিবেশ। চিৎকার, কান্না আর আহাজারিতে ভারী পুরো হাসপাতাল। হাসপাতালের সামনে হতাহতের স্বজনদের নিঃশ্বাসে ভারী হয়ে উঠেছে পুরো পরিবেশ।

হাসপাতালে একে একে আনা হচ্ছে আহতদের। অ্যাম্বুলেন্স থেকে শুরু করে সিএনজিচালিত অটোরিকশাতে করেও হতাহতদের আনা হচ্ছে। আহতদের চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও চিকিৎসা দিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে চট্টগ্রামের সব চিকিৎসকের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে অন্তত চার কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। আশপাশের বাড়ি-ঘরের জানালার কাঁচ ভেঙে পড়ে। রোববার (৫ জুন) এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২৯টি ইউনিট কাজ করছে।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন সিকদার বলেন, আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে ৭-৮ টি কনটেইনারে বিস্ফোরণে আবার আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা এখনও মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। কী ধরনের কেমিক্যাল ছিল তা জানতে পারিনি।

ফারুক হোসেন সিকদার আরও বলেন, ডিপো এলাকায় পানির সংকট রয়েছে। সেখানে একটি পুকুর থেকে পানি আনা হয়েছিল, সেই পানিও এখন শেষ পর্যায়ে।

জানা গেছে, ডিপোতে আমদানি-রপ্তানির বিভিন্ন মালামালবাহী কনটেইনার ছিল। কনটেইনারে রাসায়নিক ছিল, বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। দ্রুত চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ