২০৩০ সালে ওয়ার্ল্ড এক্সপো এবং ২০৩৪ সালে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হিসেবে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হওয়ায় সৌদি আরবে কন্সট্রাকসন, ক্লিনিং, মেনটেইনেন্স, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি সেক্টরে দক্ষ কর্মীদের ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে দক্ষতা অর্জন করে সৌদি আরবে আসলে সম্মানজনক কাজ ও কয়েকগুণ বেশি বেতন পাওয়া যাবে। ফলে আরও বেশি হারে রেমিট্যান্স পাঠানোর মাধ্যমে নিজ পরিবার, এলাকা ও দেশের উন্নয়নে আরও বেশি অবদান রাখা সম্ভব হবে।
জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষে সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারি এসব কথা বলেন। দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রথম বারের মতো জাতীয় প্রবাসী দিবস উদযাপিত হলো। ‘প্রবাসীর কল্যাণ, মর্যাদা আমাদের অঙ্গীকার; স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় তারাও সমান অংশীদার’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এই দিবস পালিত হয়।
প্রবাসীদের সৌদি আরবে আসার সময় কাজ সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে এবং সংশ্লিষ্ট পেশায় প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত।এ যাবত প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ অভিবাসী কর্মী বিদেশে কর্মসংস্থানে নিয়োজিত রয়েছেন। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী প্রায় ২৪ লাখ বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীও দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছেন। অভিবাসীরা ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২১.৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। একই সময়ে সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে ৩.০৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠানো হয়েছে যা মোট রেমিট্যান্সের ১৬ শতাংশ।
রাষ্ট্রদূত বলেন বাংলাদেশ দূতাবাস কর্মীদের শিক্ষা ও কারিগরি দক্ষতা উন্নয়নের বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ দূতাবাসের মধ্যস্থতায় গত বছর জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষন ব্যুরো (বিএমইটি) এবং সৌদি সরকার অনুমোদিত তাকামোল ফর বিজনেস সার্ভিস কোম্পানির মধ্যে দক্ষতা যাচাই প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ চুক্তির আওতায় ২৯টি পেশায় বাংলাদেশ হতে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সৌদি সরকারের দেওয়া দক্ষতার সনদ নিয়ে অধিক বেতনে সৌদি আরবে কাজ করতে পারবেন।
এছাড়া যাদের উচ্চ শিক্ষার আকাঙ্ক্ষা থাকার পরও যারা পড়াশুনা শেষ করতে পারেননি দূতাবাসের উদ্যোগে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে এসএসসি, এইচএসসি এবং ডিগ্রি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে শিক্ষাগত যোগ্যতা বৃদ্ধি করতে পারবেন।