মূল্য সূচক সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে ওঠার পর মঙ্গলবার (৬ জুলাই) দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতনের সঙ্গে কমেছে মূল্য সূচক। তবে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
এর আগে চারদিন বিরতির পর সোমবার (৫ জুলাই) দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন চালু হতেই মূল্য সূচকের বড় উত্থান হয়। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক সাড়ে তিন বছর বা ২০১৮ সালের ৭ জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠে আসে।
এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার মাধ্যমে। এর ফলে ডিএসইতে লেনদেন শুরুই হয় প্রধান মূল্য সূচক ২০ পয়েন্ট বাড়ার মাধ্যমে।
তবে সূচকের এই উত্থানের ধারা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। আধাঘণ্টার মধ্যেই ঋণাত্মক হয়ে পড়ে সূচক। এই নেতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত।
ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৩ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১৯৬ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২২৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩২৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সূচকের এই বড় পতনের দিনে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৪২টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ২২৪টির। আর আটটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
তবে এদিন মাত্র তিন ঘণ্টার কর্মদিবসে ডিএসইতে লেনদেন পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৮৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১ হাজার ৫৫১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ২৩৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৯৭ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ৪৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৪৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আমান ফিড।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- কেয়া কসমেটিকস, এমএল ডাইং, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, অ্যাপোল ইস্পাত, ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স এবং অলিম্পিক এক্সেসরিজ।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৫৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৮১ কোটি ৫ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ৩১২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৫টির এবং ১৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।