সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। দুই জেলার উচু এলাকাগুলোর ঘরবাড়ি থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। অনেক রাস্তাঘাট থেকেও পানি নেমে গেছে। সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে স্বল্প পরিসরে শুরু হয়েছে যান চলাচল। তবে বানভাসি মানুষেরা ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে। দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাদ্যের তীব্র সংকট।
মৌলভীবাজারের প্রায় ৫০টি ইউনিয়নের প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। অন্যদিকে, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে উত্তরাঞ্চলে। সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। শহরের হার্ডপয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে মঙ্গলবার সকালে বিপদসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
তিস্তা ও ব্রহ্মপূত্র নদের পানি বেড়ে লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের আরো কয়েকটি এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার মথুরাপুর পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। গাইবান্ধার সবক’টি নদ-নদীর পানি বেড়ে ৪ উপজেলার ২০ ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।