স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সরকারি স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে যক্ষ্মা রোগে প্রতি বছর গড়ে ৯০ ভাগ মানুষ পুরোপুরি সুস্থ হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শ্যামলীতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতালে ওয়ান স্টপ টিবি সার্ভিস সেন্টার ও রিজিওনাল টিবি রেফারেন্স ল্যাবরেটরি কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতি বছর দেশে গড়ে প্রায় ৩ লাখ মানুষ টিবি রোগে আক্রান্ত হয়। বর্তমান করোনা মহামারীতে অন্যান্য রোগের সাথে এই রোগের চিকিৎসাও স্বাস্থ্যখাতকে দিতে হচ্ছে। দেশের স্বাস্থ্যখাত কোভিড, ডেঙ্গু চিকিৎসার পাশাপাশি যক্ষ্মা রোগেরও সঠিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে সরকারি স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে যক্ষ্মা রোগে প্রতি বছর গড়ে ৯০ ভাগ মানুষ পুরোপুরি সুস্থ হচ্ছে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, ইউএসএআইডি-বাংলাদেশ-এর উপ মিশন পরিচালক র্যান্ডি, আইসিডিডিআর,বি এর ডা. তাহমিড আহমেদ, এমবিডিসি’র পরিচালক এবং টিবি ল্যাপরোসি’র লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. শামসুল ইসলাম, শ্যামলী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মোঃ আবু রায়হান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আরও বলেন, ওয়ান স্টপ টিবি সার্ভিস সেন্টার প্রমাণ করে এই সরকার রোগীকেন্দ্রিক সেবা প্রদানে কতটা আন্তরিক। আমরা দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও রোগীকেন্দ্রিক যক্ষ্মার সেবা সম্প্রসারণ করবো। ওয়ান স্টপ টিবি সার্ভিস সেন্টার সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে যৌথভাবে কাজ করার এক অনন্য নজির। সরকার যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলের জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, যা ২০৩০ সালের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও অবদান রাখবে।
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, এই অসাধারণ ওয়ান স্টপ টিবি সার্ভিস সেন্টারের দ্বার উন্মোচন করতে পেরে ও যারা যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়েও এর বিরুদ্ধে নিয়মিত সংগ্রাম করে যাচ্ছেন তাঁদের জীবন রক্ষায় অবদান রাখতে পেরে আমরা আনন্দিত। বাংলাদেশের মানুষদের স্বাস্থ্যকর ও উন্নত জীবনের জন্য বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যে সমন্বিত প্রচেষ্টা এই সেন্টারটি তারই স্মারক।