কোচ জার্গেন ক্লপ জানিয়েছেন,দলবদলের বাজারে সম্ভাব্য নতুন চুক্তি নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে লিভারপুল। বিশেষ করে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে ইনজুরি আক্রান্ত খেলোয়াড় নিয়ে নতুন করে দলকে ভাবতে হচ্ছে বলেও ক্লপ ইঙ্গিত দিয়েছেন।
গত মৌসুম শেষে একে একে ডারউইন নুনেজ, ফ্যাবিও কারভালহো ও কালভিন রামসেকে দলে ভিড়িয়েছে লিভারপুল। কিন্তু নতুন মৌসুমের শুরুতেই ইনজুরির তালিকা দীর্ঘ হওয়ায় দু:শ্চিন্তায় পড়েছেন ক্লপ। তিন ম্যাচ শেষ হলেও এখনো নতুন মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে জয়ের দেখা পায়নি অল রেডরা।
আগামী ১ সেপ্টেম্বর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডো। নতুন খেলোয়াড় রিক্রুটে ক্লাবের হাতে সময়ও বেশী বাকি নেই। কিন্তু তারপরও ক্লপ নতুন খেলোয়াড়ের সন্ধানে রয়েছেন। যার মধ্যে মার্সিসাইড ক্লাবের অন্যতম আগ্রহ রয়েছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মিডফিল্ডার জুড বেলিংহ্যামকে নিয়ে।
এ সম্পর্কে ক্লপ স্থানীয় গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘দলবদলের বাজারে আমরা প্রতিনিয়ত নজড় রাখছি। আগে কেন সব কিছু সম্পন্ন হলোনা সেটা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কখনো কখনো কিছু কিছু খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে চাহিদাটা একটু বেশী হয়ে যায়, হয়তো সেই অর্থ তাদের প্রাপ্য নয়। কিন্তু পরক্ষনেই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। আমাদের সঠিক খেলোয়াড়কে তুলে আনতে হবে এবং এনিয়ে আমরা কাজ করছি। জানি না শেষ পর্যন্ত সবকিছু ঠিকমত সম্পন্ন হবে কিনা।’
শনিবার এ্যানফিল্ডে বোর্নমাউথের বিপক্ষে ম্যাচে ক্লপ তার ইনজুরি আক্রান্ত খেলোয়াড়দের নিয়ে কোন নিশ্চয়তা দিতে পারেননি। ইতোমধ্যেই ইনজুরির কারনে দলের বাইরে রয়েছেন কার্টিস জোনস, ইব্রাহিমা কোনাটে, জোয়েল মাটিপ, এ্যালেক্স অক্সালেড-চেম্বারলেইন, দিয়োগো জোতা, থিয়াগো আলচানতারা, রামসে ও কায়োমিহিন কেলেহার। আর নিষেধাজ্ঞার কারনে দলের বাইরে রয়েছেন দলের নতুন রিক্রুট নুনেজ।
শেষ ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে ২-১ গোলে পরাজিত হয়ে ইতোমধ্যেই তিন ম্যাচ শেষে শীর্ষে থাকা আর্সেনালের থেকে ৭ পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে লিভাপুল। এর আগে ফুলহ্যাম ও ক্রিস্টাল প্যালেসের সাথে দুই ম্যাচে ড্র করে পয়েন্ট হারিয়েছে ক্লপ বাহিনী।
যদিও এই সমস্যা দ্রুতই কাটিয়ে উঠবে বলে শিষ্যদের নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মনোভাব পোষন করেছেন ক্লপ। তিনি বলেন, ‘ইউনাইটেডের বিপক্ষে ম্যাচ শেষ হয়ে গেছে, এখন আমাদের সামনে নতুন ম্যাচ। এই ধরনের পরিস্থিতি কখনই কাম্য নয়। কিন্তু এটা এক ধরনের চ্যালেঞ্জ। এই ধরনের শুরু কেউই চায়না। আমাদের লড়াই করেই ফিরে আসতে হবে। আগামী দুই ম্যাচ আমরা ঘরের মাঠে খেলার সুযোগ পাচ্ছি, এটা স্বস্তির বিষয়। আমরা সবাই পরিস্থিতি বুঝতে পারছি। সে কারনেই খেলোয়াড়রা সামনের ম্যাচগুলোতে তা কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে আমি আশাবাদী।’