সাংগঠনিক কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটায় জিনোদপুর আওয়ামী লীগকে ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি
এবার নবীনগর উপজেলার জিনোদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটিকে সাংগঠনিক কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগে নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ কারণ দর্শানোর নির্দেশনা জারী করেছে। আগামী দুই একদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর এই চিঠি জিনোদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ পেয়ে যাবে বলে জানা গেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ২৩ জুলাই জিনোদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ব্যানারে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উদ্বোধন উপলক্ষে জনসভার আয়োজন করে। জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল। কিন্ত বিপত্তি দেখা দেয় সাংগঠনিক ভাবে উপজেলা সভাপতি পদাধীকার বলে যেকোন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকার নিয়ম থাকলেও ব্যানারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি ফয়েজুর রহমান বাদল অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেও ব্যানারে অনেকের নাম থাকলেও তার নামটি ছিল না। এ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়, আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের মধ্যে।
এ নিয়ে আজ সন্ধ্যা ৭ টা ৩৮ মিনিটে সাবেক এমপি ফয়েজুর রহমান বাদলের ব্যক্তিগত কর্মকতা ও উপজেলার দফতর সম্পাদক মো: জালাল বলেন ,হ্যাঁ, শোকজের নোটিশ ইস্যু হয়েছে। তিনি জানালেন , নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম এই চিঠি স্বাক্ষর করেছেন। জিনোদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে অবশ্যই চিঠি পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে সাংগঠনিক কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটার ঘটনায় জবাব দিতে হবে। তিনি আও জানালেন দু/তিন দিনের মধ্যে সেই চিঠি তারা পেয়ে যাবেন।
জানা গেছে, ২৩ জুলাই শনিবারের যে জনসভাটি হয় সেটি চমৎকার পরিবেশে হয়েছিল। কিন্তু দলীয় সভাপতির নাম ব্যানারে না থাকার ঘটনায় অনেকেই মর্মাহত হয়েছেন। জানা গেছে, সাংগঠনিক জবাব সন্তোষজনক না হলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। তবে দলটির উপজেলা পর্যায়ের সিনিয়র নেতারা এখনই কোন মন্তব্য করতে চান না। তারা চাইছেন জিনোদপুর আওয়ামী লীগ ব্যানারে দলীয় সভাপতির নাম কেন দিলো না ,কিংবা সাংগঠনিক কার্যক্রমে তারা কেন বিশৃংখলা সৃস্টি করলো এ বিষয়ে তাদের জবাব কি দেয় সেটি দেখার অপেক্ষায়।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আওয়ামী লীগের এক সিনিয়র নেতা এই প্রতিবেদককে বলেন,আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে। এটা রীতিমতো দলীয় শৃংখলা নষ্টের সামিল। এটা কোন মতেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা সাংগঠনিক পথেই হাঁটতে চাই।
তবে,খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় সাংসদ মোহাম্মদ এবাদুল করিম ও দলের সভাপতি ফয়েজুর রহমান বাদল কখনোই চান না দলীয় কোন কোন্দল। তারা দুজনই মঞ্চে দাঁড়িয়ে ঐক্যের কথা বলেছিলেন।কিন্তু ব্যানারে দলীয় উপজেলা সভাপতির নাম না থাকায় জিনোদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকে স্থানীয় সাংসদ ভর্ৎসনা করেছেন বলেও জানা গেছে।
সেদিনের জনসভায় সাবেক সাংসদ ফয়েজুর রহমান বাদল ব্যানারে নিজের নাম থাকা না থাকা নিয়ে কোন মন্তব্য না করলেও সাবেক ও বর্তমান এমপির মধ্যে কোন্দল লাগানোর পেছনে বেপারীদের হাত রয়েছে বলে ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য রেখে বেশ সাড়া ফেলে দেন।