আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দেশের বেশিরভাগ স্থানে শনিবার (১০ জুলাই) বৃষ্টি হয়নি। যেসব স্থানে বৃষ্টিপাত হয়েছে, সেখানেও হয়েছে খুব সামান্য। তবে সিলেটের কেবল ভারী বর্ষণ হয়েছে। রেকর্ড করা হয়েছে ৭৩ মিলিমিটার বর্ষণ।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারী অবস্থায় বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এই অবস্থায় রোববার (১১ জুলাই) সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুই/এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারী ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে এ সময় ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ৮-১২ কিলোমিটার।
সোমবার (১২ জুলাই) নাগাদ আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। বর্ধিত পাঁচদিনে বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা বাড়বে।
এদিকে ঢাকা, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, যশাের, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নােয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়াে হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
শনিবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায়, ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে এক মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতার পরিমাণ ছিল ৭৩ শতাংশ