শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন

সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : জুলাই ২৮, ২০২২

 

অভিজিত বনিক

আগামী বছরের শেষ দিকে দ্বাদশসংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্ততি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। এজন্য নির্বাচনকমিশনের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভোটের লড়াই শুরুর আগেই মাঠের লড়াই শুরু হয়ে গেছে।আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য দলগুলো এখনথেকেই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে।  তবে নির্বাচনের জন্য তারা ব্যাপক প্রস্তুতিনিলেও বিষয়টি কেউ স্বীকার করতে নারাজ।সবার একই বক্তব্য নিয়মিত ভাবে রাজনৈতিকদলগুলোর মধ্যে সারা বছরেই ব্যস্ততা থাকে। তাই নির্বাচন কেন্দ্রিক প্রস্তুতি নেওয়ারকিছুই নেই।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,  আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আটগাঁট বেঁধে দলগুছাচ্ছে ক্ষমাসীন আওয়ামী লীগ। এজন্য দলটির ভেতরে বাইরে প্রস্তুতি চলছে। সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামীলীগের হাইকমান্ড চাইছে যেভাবেই হউক সংসদের বাইরে থাকা বিএনপি যেনো আগামী সংসদনির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। এজন্য সব ধরণের চেষ্টা করতে দলটির শীর্ষ কয়েকজন নেতাকেদায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনই প্রকাশ্যে আলোচনায় আগ্রহী নয় আওয়ামীলীগ। প্রয়োজনে বিএনপিকে কিছুটা ছাড় দিয়ে হলেও নির্বাচনের মাঠে আনতে চায় আওয়ামীলীগ। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চায়ের আমন্ত্রণ বিএনপিকে এই বক্তব্যটিরাজনৈতিক মাঠে বেশ প্রভাব ফেলে। অনেকের ধারণা নির্বাচনের আগে বিএনপির সঙ্গে একটাসমাঝোতার এটা হলো একটা বার্তা।কারণ প্রধানমন্ত্রী সাধারণত কারণ ছাড়া এভাবে কথাবলেন না। নিশ্চয়ই আলোচনার একটা আবহ তৈরি হয়েছে।

নির্বাচনের আগে ১৪ দলীয় জোটকেআরো সক্রিয় করা হলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই মুহুর্তে জাতীয় পার্টির সাথে মহাজোটনিয়ে এখনো ভাবছে না আওয়ামী লীগ৷ তবে নির্বাচন এগিয়ে এলে পরিস্থিতির ওপর অনেক কিছুনির্ভর করবে বলে জানান এই নেতারা৷বিষয়টি নিযে দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন বলেন, ‘‘জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সবইস্যুই আওয়ামী লীগ নজরে রাখছে৷ এগুলো নিয়ে কৌশল নির্ধারণও করা হচ্ছে৷ আগামী জাতীয়নির্বাচনের জন্য যা করা দরকার তার সব প্রস্তুতিই আমরা নিচ্ছি৷’’ সম্প্রতি আওয়ামী লীগেরকার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে ভোটের আগে দলীয় ভাবে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করারপাশাপাশি বিএনপি এবং জামায়াতকে নিয়ে আওয়ামী লীগের বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে৷তবে বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে সেক্ষেত্রে কীভাবে নির্বাচন করা হবে তাওতারা এখনই ঠিক করে রাখতে চায় দলটি৷ আওয়ামী লীগের পরিকল্পনা হলো কেউ নির্বাচনে নাএলেও যথা সময়ে নির্বাচনের আয়োজন করা এবং কেউ নির্বাচন প্রতিহত করতে চাইলে তামোকাবিলা করা৷ এজন্য সম্ভাব্য এসকল পরিস্থিতি সামলাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যেইস্যুগুলো রয়েছে তা কীভাবে মোকাবিলা করা হবে সে কৌশলও তারা বিবেচনা করছে৷

দুই বছরেরও বেশি সময় পর আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সদস্যদের উপস্থিতিতে সম্প্রতি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়৷আর এই বৈঠকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়া হয় দলটির সাংগঠনিক সম্পাদকদের৷ আওয়ামী লীগেরসাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম) আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘‘আওয়ামীলীগের মূল শক্তিই হলো তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা৷ তারাই নির্বাচনে, প্রচারে, আন্দোলনেপ্রধান ভূমিকা পালন করে৷ এবারও তাই হবে৷ আমরা বা তারা বলে কিছু নেই৷ সবাই মিলেইআওয়ামী লীগ৷’’

র‌্যাব ও পুলিশের ছয়কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর আর যাতে নতুন করে কেউ কোনো নিষেধাজ্ঞারমুখে না পড়ে সেদিকেও সতর্ক হচ্ছে আওয়ামী লীগ৷ আর এর জন্য তৃণমূল থেকে কেন্দ্রপর্যন্ত প্রচার জোরদার করছে তারা৷ একই সঙ্গে দ্রব্যমূল্য নিয়েও তারা বিভিন্নমাধ্যমে কথা বলবে বলে জানা গেছে৷ এদিকে দলটির সাংগঠনিক সম্পাদকএস এম কামাল হোসেন বলেন, ‘বিএনপি আলোচনায় বিশ্বাস করে না। বিএনপি পেছনের দরজাদিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়। ২০১৪ সালের নির্বাচন সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাপ্রকাশ্যে বলেছিলেন, এই এই মন্ত্রণালয় দিয়ে দেব। খালেদা জিয়াকে ফোন করেছিলেন,সেদিনখালেদা জিয়া বিরোধী দলের নেত্রী। উনি প্রধানমন্ত্রীর সাথে শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ করেছেন।যা কাম্য ছিল না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ