মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৫ অপরাহ্ন

শুভ জন্মদিন ‘দ্য ম্যাজিশিয়ান’ লিওনেল মেসি

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : জুন ২৪, ২০২২

১৯৮৭ সালের ২৪ জুন। আজ থেকে ঠিক ৩৫ বছর আগে, এইদিনে হোর্হে মেসি ও সেলিয়া কুচেত্তিনির ঘর আলো করে আর্জেন্টিনার রোজারিও শহরে জন্ম নিয়েছিলেন ক্ষুদে জাদুকর লিওনেল আন্দ্রেস মেসি কুচেত্তিনি বা সংক্ষেপে লিওনেল মেসি। আজ তার জন্ম দিন। শুভ জন্মদিন ‘দ্য ম্যাজিশিয়ান’ লিওনেল মেসি।

আর্জেন্টিনার রোজারিওর এই জাদুকর তার পায়ের জাদুতে পুরো ফুটবল বিশ্বকেই মাতিয়ে রেখেছেন। ১৯৮৭ সালের ২৪ জুন আর্জেন্টিনার রোজারিওতে। পুরো নাম লিওনেল আন্দ্রেস মেসি কুচেত্তিনি। আর্জেন্টিনার রোজারিও শহর থেকে যার অবস্থান এখন পুরো বিশ্বের মানুষের মনে।

ছোটবেলায় ভুগছিলেন হরমোনজনিত সমস্যায়, যার কারণে বাড়ছিলো না উচ্চতা। কিন্তু প্রতিভার বিকাশে তা কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। বিধাতাও হয়ত চাননি এই প্রতিভা ঝরে যাক। তাই আর্জেন্টিনার ছোট ক্লাব নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজ থেকে পাড়ি দিলেন স্পেনের ক্লাব বার্সেলোনার একাডেমি “লা ম্যাসিয়া” এর আঙ্গিনায়। বলে রাখা ভাল, বার্সেলোনায় তার আগমন হয়েছিল টিস্যু ন্যাপকিনে হওয়া চুক্তির মাধ্যমে।

আকারে-গড়নে ছোটখাটো। স্বভাবগতভাবেও ভীষণ চুপচাপ। কিন্তু বল পায়ে তিনি দারুণ সাবলীল। নিজের বাঁ পায়ের মোহমেয় জাদুতে আবিষ্ট রাখেন গোটা বিশ্ব। তার ফুটবলীয় নৈপুণ্যতায় বুঁদ হয়ে রাতের পর রাত বিনিদ্রায় ফুটবলের অমৃতসুধা পান করেননি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।

২০০২ সাল থেকে বার্সা যুবদলের হয়ে ক্যারিয়ার শুরু হয় লিওনেল মেসির। ২০০৩ সালে যোগ দেন বার্সার অনূর্ধ্ব-১৬ দলে। এরপর বার্সা অনূর্ধ্ব-১৯, বার্সা সি দল আর বি দলের হয়ে খেলে ২০০৫ সালে ১ জুলাই থেকে বার্সার মূল দলে জায়গা করে নেন তিনি।

সেই থেকে যে শুরু, আর পিছনে তাকাতে হয়নি তাকে। নিজের সাফল্যের মাধ্যমে ধীরে ধীরে বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা তারকায় পরিণত হন তিনি। এরই মধ্যে ক্যারিয়ারে করেছেন ৭০০ এরও বেশি গোল। সাথে ভূমিকা রেখেছেন আড়াইশ এরও বেশি গোলেও। সব মিলিয়ে ক্যারিয়ারে ১১০০ এরও গোলে সরাসরি অংশীদারিত্ব আছে তার।

পুরো ক্লাব ক্যারিয়ার কাটিয়ে দিয়েছেন বার্সেলোনায়ই। কাতালানদের হয়ে ৭৩১ ম্যাচে ৬৩৪টি গোল করেছেন। সঙ্গে অবদান রেখেছেন ২৮৫টি গোলেও। স্প্যানিশ ক্লাবের হয়ে জিতেছেন ৩৪টি শিরোপা। আর রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়া তো তার কাছে নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার।

লিওনেল মেসি এখন পর্যন্ত সাতবার বিশ্বের সেরা ফুটবলারের পুরস্কার জিতেছেন। এছাড়া ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতেছেন একাধিকবার। জাতীয় দলের হয়ে গ্রেটেস্ট শোন অন আর্থ খ্যাত ফিফা বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতে নিয়েছেন তিনি, জিতেছেন কোপা আমেরিকার টুর্ণামেন্ট সেরার ট্রফিও।

কিন্তু বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে মেসির একমাত্র অপূর্ণতাও যদি থেকে থাকে তাহলে তা জাতীয় দল আর্জেন্টিনার হয়েই। বার্সেলোনার হয়ে একে একে শিরোপার ফুলঝুড়ি ঝরালেও ২০০৫ সালে আকাশী-সাদার জার্সিতে অভিষেক হওয়ার পর জাতীয় দলের হয়ে এখনো রয়েছেন শিরোপাহীন। সুযোগ যে আসে নি তা নয়। আলবিসেলেস্তেদের হয়ে ২০১৪ বিশ্বকাপের পাশাপাশি ২০০৭, ২০১৫ ও ২০১৬ সালের কোপা আমেরিকার ফাইনালে গেলেও সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে রানার্সআপ হয়েই।

জাতীয় দলের হয়ে কোন শিরোপা না জিতলেও গোলসংখ্যায় ঠিকই দেশের সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন মেসি। আর্জেন্টিনার হয়ে ১৪৭ ম্যাচে করেছেন ৭৩ গোল করে ইতিমধ্যেই দেশের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা মেসি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ