দেড় মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌপথে পরীক্ষামূলক ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। সোমবার (০৪ অক্টোবর) সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটের দিকে শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছোট একটি ফেরির মাধ্যমে এ নৌপথে পরীক্ষামূলক (ট্রায়াল) ফেরি ছাড়া হয়।
ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, ফেরিটি শিমুলিয়া ঘাট থেকে বাংলাবাজার ঘাটে সফলভাবে পৌঁছাতে পারলে ফেরি চলাচলের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ও ঘাট সূত্র জানায়, দেড় মাসের বেশি সময় ধরে তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। পদ্মায় স্রোত ও পানির উচ্চতা এখন অনেকটা কমে এসেছে। এ কারণে জরুরি সেবা পুনরায় চালুসহ জনদুর্ভোগ রোধে সকাল থেকে পরীক্ষামূলক ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতে পদ্মা নদী পার হতে বাংলাবাজার- শিমুলিয়া নৌপথ ব্যবহার করে। স্বাভাবিক সময়ে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ১৮ থেকে ২০টি ফেরি চলাচল করত। গত জুলাই ও আগস্টে পদ্মায় তীব্র স্রোত থাকায় পদ্মা সেতুর তিনটি পিলারে চারবার ফেরির ধাক্কা লাগে। এ পরিস্থিতিতে নৌপথে সব ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে গত ১৮ আগস্ট দুপুরের পর এ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
ফেরি চলাচল শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে ঘাটের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও এ নৌপথের যাত্রীদের মধ্যে। ঘাটের ফল ব্যবসায়ী আল-আমিন হোসেন বলেন, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রায় সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকত। তবে এর আগে কখনো এত সময় ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল না। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকলে আমাদের রুজি-রুটিতে প্রভাব পড়ে। বেচা-কেনা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটের দিকে ছোট ফেরি কুঞ্জলতা শিমুলিয়া ঘাট থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ছেড়ে গেছে। ফেরিটি সফলভাবে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে পৌঁছতে পারলে পরবর্তীতে ফেরি চলবে কি না সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।