প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশে চলমান ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের তৃতীয়দিনে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ঢাকামুখী মানুষের চাপ বেড়েছে। ফেরি চলাচল আগের তুলনায় সীমিত করা হয়েছে। ফলে গাদাগাদি করে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন যাত্রীরা। তারা মানছেন না কোনো স্বাস্থ্যবিধি।
এদিকে পদ্মায় পানির স্রোতের গতি বাড়ায় ফেরি পারাপারে আগের চেয়ে বেশি সময় লাগছে।
রোববার (২৫ জুলাই) ঘাট এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, বিধিনিষেধে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে আটটি ফেরি চলছে। ফেরিগুলোতে ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ বেশি। ফলে গাদাগাদি করে নদী পার হচ্ছেন তারা। মাস্ক ব্যবহারে তেমন সচেতনতা দেখা যায়নি কারও মধ্যে। ঘাটে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যাত্রীরা কয়েকগুণ বেশি ভাড়া গুণে বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, ফরিদপুর, মাদারীপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে বিভিন্ন হালকা যানবাহনে ঘাটে আসছেন।
একইভাবে যাত্রীরা ঘাট থেকে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে পৌঁছাচ্ছেন। পদ্মায় অস্বাভাবিকভাবে পানি বাড়ছে। এতে স্রোতের গতি বাড়ায় ফেরি পারাপারে দ্বিগুণ সময় ও অতিরিক্ত জ্বালানি ব্যয় হচ্ছে।
বরিশাল থেকে ঢাকাগামী আল লতিফ মিয়া বলেন, ঈদে বাড়ি এসেছিলাম। এখন ঢাকা যাচ্ছি। বরিশাল থেকে মোটরসাইকেলে ১ হাজার ১০০ টাকা ভাড়া দিয়ে বাংলাবাজার ঘাটে এসেছি। এখন ফেরিতে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছি। জানি না আরও কত টাকা ভাড়া গুনতে হবে।
বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ঘাট ম্যানেজার মো. সালাউদ্দিন বলেন, ফেরিতে পণ্যবাহী ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে।