পাকিস্তানে সদ্য ক্ষমতায় আসা শাহবাজ সরকারকে নতুন নির্বাচন দিতে ছয় দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন সদ্য ক্ষমতাচ্যুত পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান।
স্থানীয় গণমাধ্যম ডন ও জিও টিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানী ইসলামাবাদে ‘আজাদি মার্চ’ থেকে এই আল্টিমেটাম দেন তিনি। নির্বাচন না দিলে পরবর্তীতে গোটা জাতিকে সঙ্গে নিয়ে আবারও রাজধানীতে আসবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন ইমরান খান।
পিটিআই প্রধান বলেন বলেন, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম- সরকার সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন ঘোষণা না করা পর্যন্ত এখানে বসে থাকব, কিন্তু আমি গত ২৪ ঘণ্টায় যা দেখেছি, তারা (সরকার) জাতিকে নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তারা জাতি ও পুলিশের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টাও করছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ইসলামাবাদে অবস্থান ধর্মঘট পালন করলে সরকারই খুশি হবে। কারণ এতে জনগণ, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধবে। এ সময় তিনি পিটিআই-এর মিছিল ঠেকাতে অভিযান এবং গ্রেপ্তারসহ ‘আমদানি করা সরকারের’ গৃহীত ‘কৌশলের’ নিন্দা জানান। একই সঙ্গে লংমার্চের বিষয়টি আমলে নিয়ে নির্দেশনা দেয়ায় সুপ্রিম কোর্টকেও ধন্যবাদ দেন তিনি।
এদিকে, বুধবার মধ্যরাতে ইমরান খানের আজাদি লংমার্চের গাড়িবহর রাজধানী ইসলামাবাদে এসে পৌঁছায়। বৃহস্পতিবার সকালে ইমরান খানের আল্টিমেটাম ঘোষণার পর ডি-চকের ‘রেড জোনে’ ঢুকে পড়ে তার দলের কর্মী-সমর্থকরা। পাকিস্তানের প্রভাবশালী ডন পত্রিকার অনলাইনের খবরে বলা হয়, পুলিশি বাধা উপেক্ষা করেই রেড জোনে ঢুকে পড়ে পিটিআই সমর্থকরা।
ডনের খবরে আরও বলা হয়েছে, ইসলামাবাদের ‘রেড জোনের’ নিরাপত্তায় সেনাবাহিনীর সাহায্য চেয়েছে শাহবাজ শরীফের সরকার। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েনের অনুমতিও দিয়েছে সরকার। সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ভবন রক্ষায় সেনাবাহিনী মোতায়েনের কথা বলা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ একটি প্রজ্ঞাপন টুইট করে বলেছেন, সংবিধানের ২৪৫ অনুচ্ছেদের অধীনে রেড জোনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্তের পরও ‘রেড জোনে’ ঢুকে পড়েছে ইমরান খানে কর্মী-সমর্থক ও নেতারা।