জমজমাট হয়ে উঠছে রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটগুলো। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠেছে পশুতে। ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় মুখরিত পুরো হাট এলাকা। এখন ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে মাঝারি ও ছোট আকৃতির গরুর।
তবে দরদাম নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বিক্রেতারা বলছেন, অধিকাংশ ক্রেতাই নির্দিষ্ট দামের চেয়ে অনেক কম দাম বলছেন। আর ক্রেতারা বলছেন, হাটের শুরু থেকেই বেশি দাম হাকছেন বিক্রেতা। দাম বেশি হওয়ায় ছোট ও মাঝারি গরু কিনতে হচ্ছে।
রোববার (১৮ জুলাই) রাজধানীর শাহজাহানপুর মৈত্রী মাঠে অস্থায়ী কোরবানির হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ঝিনাইদহের হরিনাকুণ্ডু থেকে আসা ব্যাপারী বিপ্লবের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘অন্যবারের তুলনায় এবার ক্রেতারা গরুর দাম কম বলছেন। এখন পর্যন্ত বড় গরুর ক্রেতাই আসেনি। তবে ছোট ও মাঝারি গরু বিক্রি হলেও সেগুলোও আশানুরূপ দাম পাওয়া যাচ্ছে না।’
একই কথা জানান চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা আব্দুল লতিফ। তিনি দুই থেকে তিন লাখ টাকা মূল্যের চারটি গরু এনেছেন এই হাটে। এখন পর্যন্ত একটি গরুও বিক্রি করতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘বড় গরু সবসময় শেষের দিকে বিক্রি হয়। এখন ক্রেতারা বাজার যাচাইয়ে আসছেন, পরে কিনবেন।’
কুষ্টিয়ার আকমল ব্যাপারী জানান, সব ধরনের গরু যেমন বাজারে এসেছে, তেমনই ক্রেতার আগমনও ভালো। তবে ক্রেতারা এখন দাম কম বলছেন, যা আশা ছিল তেমন পাচ্ছি না। তবে গরু বেশি হওয়ায় লাভ কম রেখেই ছেড়ে দিচ্ছি।’
উত্তর শাজাহানপুর থেকে আসা হাজী আব্দুস সবুর বলেন, ‘ব্যাপারীরা এবার অনেক দাম চাইছেন। এ কারণে এখনো কেনা হয়নি, তবে আরও কয়েকটি হাট দেখেই বড় গরু কিনবো।’
এক লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনেছেন চামেলীবাগের ইয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বিক্রেতারা দাম বেশি বলছেন। তবুও কিনতে হবে, তাই আগে-ভাগেই গরু কিনেছি। আবহাওয়া কখনো ভালো, আবার কখনো খারাপ হচ্ছে কয়েকদিন ধরে। তাই সবকিছু বিবেচনা করে আগেই কিনেছি। তবে অন্যবারের চেয়ে দাম কিছুটা বেশি।’