বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সাইবার আইনের প্রত্যাহার হচ্ছে ৫৮১৮ মামলা নদী দূষণমুক্ত করা গেলে পরিবেশ উন্নত হবে ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক অফিস আদালত খুলেছে, যানচলাচল স্বাভাবিক ছাগলকাণ্ডে মতিউর ও তার স্ত্রী এবং সন্তানদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত বরুড়ায় মামার বিরুদ্ধে ভাগিনার প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ! মোশারফ প্যারিস অলিম্পিকে ডাক পেলেন অলিম্পিক রিংয়ে সাজবে আইফেল টাওয়ার প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা! বরিশাল প্লে-অফে শক্তিশালী হচ্ছেন রওশন, দুর্বল জিএম কাদের! খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মিনিট পরপর চলবে মেট্রোরেল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন ৪৮ নারী প্রার্থী সিরিজ নির্বাচন করতে চায় ইসি

মুরাদনগরে বৈষ্ণব আখড়ায় পাঠদান

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : নভেম্বর ২১, ২০২২

মুরাদনগরে বৈষ্ণব আখড়ায় চলে পাঠদান
মোঃ আঃ আলীম মুরাদনগর, কুমিল্লা।
মুরাদনগর উপজেলার ১৪৩নং রামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন না থাকায় খোলা আকাশ আর হিন্দুদের বৈষ্ণব আখড়ায় চলে পাঠদান। ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষণার ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও নতুন ভবন পায়নি শিক্ষার্থীরা। তাই অর্ধেক শিক্ষার্থী স্কুল ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন।

স্কুল সূত্রে জানা যায়, ১৯৪০ সাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মুরাদনগর উপজেলার রামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুলটি এক যুগেরও বেশি সময় বয়সের ভারে জরাজীর্ণ। অনেক কক্ষের দরজা- জানালা নাই। উপর থেকে খসে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা। বৃষ্টি এলে স্কুলের ভীতর জমে পানি। একারণে ২০১৩ সালে ঝুঁকিপূণ ভবনটিকে পরিত্যাক্ত ঘোষনা করেন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। স্কুলভবন পরিত্যাক্ত ঘোষণার ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত নতুন কোন ভবন পায়নি শিক্ষার্থীরা। তাই পাশের বৈষ্ণব আখড়া আর খোলা আকাশের নীচে চলে তাঁদের পাঠদান।
কচিকাঁচা শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমাদের নতুন একটি স্কুল চাই। এখানে ক্লাস করতে আমাদের অনেক.. কষ্ট হয়”।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুমিত্রা পাল বলেন, “ ২০১৩ সালে স্কুলটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ভবন সংকটে স্কুলের শিক্ষার্থীরা অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। ৪’শ ছাত্র-ছাত্রী থেকে এখন মাত্র ১৮০ আছে। ভবন সংকটে স্কুলের ছাত্রী-ছাত্রী চলে যাচ্ছে অন্যদিকে। আমরা অনেক চেষ্টা করেও কোন ভবন পাচ্ছি না ”।
মুরাদনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফৌজিয়া আক্তার বলেন, আমরা মা সমাবেশ আর অভিভাবকদের সাথে কথা বলে শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছি। ভবন পেতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলাউদ্দিন ভূইয়া জনী বলেন, স্কুলের শিক্ষার্থী কমতে কমতে অর্ধেক হয়ে গেছে। এখানে একটি ভবন জরুরি হয়ে পড়ছে। তাই নতুন ভবন বরাদ্ধ পেতে সকল প্রকার সহযোগীতা করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ