শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২৮ পূর্বাহ্ন

মার্কিন মানবাধিকার, নির্বাচন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : জুন ১, ২০২২

যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। আজ বুধবার সকালে (১ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তার পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে জানানো হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা কি মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে প্রশ্নগুলো করবেন, কেন তারা তাদের দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ করতে পারে না। দ্বিতীয়ত, প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ মার্কিন নাগরিক হারিয়ে যান। এমনকি মার্কিন শিশুদের তাদের হিস্পানিক বা স্পেইনদেশীয় পিতামাতাদের সঙ্গে মিলিত হতে দেয়া হয় না।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের ইস্যুগুলো নিয়ে প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশকে নিয়ে নয়। আামাদের এই দেশকে শাসন বা সাহায্য উন্নতি করতে যুক্তরাষ্ট্র বাধ্য নয়।’

তিনি বলেন, প্রথমত যুক্তরাষ্ট্র যদি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চায়, তবে কেন রাশিয়ার আরটি টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে। দ্বিতীয়ত. তারা যদি জবাবদিহি চায়, তাহলে কেন প্রতি বছর হাজারো মার্কিন নাগরিকদের হত্যার জন্য নিজেদের নিরাপত্তা বাহিনীগুলো/ পুলিশের জবাবদিহি ও শাস্তি নিশ্চিত করা হয় না। হত্যা হওয়া বেশিরভাগ কালো ও হিস্পানিক নাগরিক। আপনারা কেন মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে এ প্রশ্নগুলো করেন না?’

মার্কিন নির্বাচন নিয়ে এ কে আবদুল মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন প্রক্রিয়া যদি স্বচ্ছ হয়, তবে কেন তরুণ মার্কিনিদের যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ওপর আস্থা নেই। তরুণ মার্কিনরা ঠিকমতো ভোটই দেয় ন। কেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি নির্বাচনে মাত্র ২৫ শতাংশ ভোট পড়ে।

দেশটির নির্বাচনী প্রক্রিয়া কি অংশগ্রহণমূলক, এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিক্যাব টকে অংশ নেন ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। সেখানে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন, মানবাধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ