মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত সন্দেহে এক তুর্কি নাগরিককে রাজধানীর মহাখালী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এই তুর্কি নাগরিককে শনাক্ত করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার (৭ জুন) এ তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম প্রধান বলেন, এটি সন্দেহ করা হচ্ছে। এই তুর্কি নাগরিক পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। বিষয়টি পরীক্ষা নিরীক্ষার করে চূডান্তভাবে জানা যাবে।
মাঙ্কিপক্স নিয়ে বাংলাদেশে আতঙ্কের কিছু নেই জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তা বলেন, সরকার মাঙ্কিপক্স নিয়ে সতর্ক রয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, প্রায় ৮০ জনের মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ নিশ্চিত করা হয়েছে এবং ১১টি দেশে আরও ৫০ জনের এই ভাইরাসে আক্রান্তের ঘটনা তদন্তাধীন রয়েছে।
মাঙ্কিপক্স একটি বিরল ও স্বল্প পরিচিত রোগ। স্মলপক্স ভাইরাস শ্রেণির একটি ভাইরাস এ রোগের জন্য দায়ী।
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ রোগে আক্রান্তদের শরীরে ফুসকুড়ি দেখা যায়। মাঙ্কিপক্সের নিশ্চিত রোগী পাওয়া গেছে- এমন দেশে সম্প্রতি যারা ভ্রমণ করেছেন, অথবা এমন কোনো ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, যাদের একই রকম ফুসকুড়ি দেখা গেলে বা নিশ্চিত বা সন্দেহজনক মাঙ্কিপক্সের রোগী হিসেবে শনাক্ত হলে, সেই রোগীদের মাঙ্কিপক্সের সন্দেহজনক রোগীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
সন্দেহজনক এবং লক্ষণযুক্ত রোগীদের কাছের সরকারি হাসপাতাল বা ঢাকার সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ধরনের ব্যক্তির তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা এবং আইইডিসিআরে পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্য, স্পেন, পর্তুগাল, জার্মানি, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, ইতালি ও সুইডেন এবং যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রলিয়া এ পর্যন্ত মাঙ্কিপক্সের রোগী পাওয়ার কথা জানিয়েছে। সর্বপ্রথম বানরের দেহে শনাক্ত হওয়া এ রোগটি এর আগে আফ্রিকার বাইরে দেখা যায়নি।