চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর আগুন লাগার ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ১০ কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন তিন ফায়ার ফাইটার। এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের আরও ২১ জন কর্মী।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-সহকারী পরিচালক মো. শাহজাহান শিকদার।
নিহত ১০ জনের মধ্যে ৮ জনের পরিচয় মিলেছে তারা হলেন, কুমিরা ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার রানা মিয়া, তার বাড়ি মানিকগঞ্জে; কুমিরা ফায়ার স্টেশনের নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট মনিরুজ্জামান, তার জেলা কুমিল্লা; কুমিরা ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার আলাউদ্দিন, তার বাড়ি নোয়াখালী; কুমিরা ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার শাকিল তরফদার; কুমিরা ফায়ার স্টেশনের লিডার মিঠু দেওয়ান৷ তার বাড়ি রাঙামাটি; সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনের লিডার নিপন চাকমা, তার বাড়ি রাঙামাটি; সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার রমজানুল ইসলাম, তার বাড়ি শেরপুরে, সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, তার বাড়ি ফেনী ও দুইজনের পরিচয় শনাক্তে ফরেনসিক পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় নিখোঁজ ফাইটাররা হলেন, কুমিরা ফায়ার স্টেশনের লিডার ইমরান হোসেন মজুমদার, তার বাড়ি চাঁদপুরে; কুমিরা ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার শফিউল ইসলাম, তার বাড়ি সিরাজগঞ্জে; সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার রবিউল ইসলাম, তার বাড়ি নওগাঁয় ও সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার ফরিদুজ্জামান, তার বাড়ি রংপুরে। তাদের মধ্যে একজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। পরিচয় শনাক্তে ফরেনসিক পরীক্ষা করা হবে।
শনিবার (৪ জুন) রাত ৮টার কিছু পর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধসহ আহত হয়েছেন ২ শতাধিক।
এদিকে ভয়াবহ বিস্ফোরণে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিবেশ। চিৎকার, কান্না আর আহাজারিতে ভারী পুরো হাসপাতাল। হাসপাতালের সামনে হতাহতের স্বজনদের নিঃশ্বাসে ভারী হয়ে উঠেছে পুরো পরিবেশ।