ভ্যকিসিন নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে এবার ইউএস ওপেন থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিলেন নোভাক জকোভিচ। করোনা ভ্যাকসিন না নিলে বিদেশী পর্যটকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বিধিনিষেধ রয়েছে, এই মর্মে জকোভিচের ইউএস ওপেনে না খেলার বিষয়টি প্রত্যাশিতই ছিল।
ভ্যাকসিন জটিলতায় এনিয়ে এবছর দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যামে খেলা হলো না ৩৫ বছর বয়সী এই সার্বিয়ান তারকার। এর আগে বছরের শুরুতেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেও একই কারনে তার খেলা হয়নি।
তিনবারের ইউএস ওপেন বিজয়ী জকোভিচ টুইটারে লিখেছেন, ‘দু:খজনক ভাবে এবারের ইউএস ওপেনের জন্য আমি নিউ ইয়র্ক সফর করতে পারছিনা। এবারে অংশ নেয়া অন্যান্য খেলোয়াড়দের জন্য আমার শুভ কামনা রইলো। এই সময়ের মধ্যে আমি নিজের ফিটনেস ধরে রেখে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবার চেষ্টা করবো। আবারো প্রতিযোগিতায় ফিরে আসার অপেক্ষায় থাকলাম। খুব দ্রুতই টেনিস বিশ্বের সাথে দেখা হচ্ছে।’
চূড়ান্ত ড্রয়ের মাত্র ৯০ মিনিট আগে জকোভিচ টুর্নামেন্টে অংশ না নেবার ঘোষনা দেন। আয়োজকরা জানিয়েছেন বাছাইপর্বে পরাজিত একজন সৌভাগ্যবান জকোভিচের স্থানে মূল ড্রয়ে সুযোগ পাবেন।
ইউএস ওপেন টুর্নামেন্ট পরিচালক স্ট্যাসি এ্যালেস্টার ২১ বরের গ্র্যান্ড স্ল্যাম বিজয়ী জকোভিচের অনুপস্থিতিতে দু:খ প্রকাশ করেছেন। এক বিবৃতিতে এ্যালেস্টার বলেন, ‘নোভাক একজন অসাধারন চ্যাম্পিয়ন। এটা খুবই দূর্ভাগ্যজনক যে ২০২২ ইউএস ওপেনে সে খেলতে পারছেনা। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বাইরে ফেডারেল সরকারের ভ্যাকসিনেশন পলিসি সকলকে মানতেই হবে। তবে ২০২৩ সালের ইউএস ওপেনে আমরা নোভাককে স্বাগত জানাতে মুখিয়ে আছি।’
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক টেনিস তারকা জন ম্যাকেনরো ভ্যাকসিন ইস্যুতে জকোভিচের খেলতে না পারার সমালোচনা করে বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা মহামারীর আড়াই বছর পার করে এসেছি। আমি মনে করি বিশ্বের প্রায় সব স্থানেই এখন করোনা নিয়ে সকলেই অবহিত। এই ইস্যুতে জকোভিচ যুক্তরাষ্ট্রে সফরে আসতে পারবে না, এটা আমার কাছে একটি হাস্যকর বিষয় মনে হচ্ছে।’
আশ্চর্য্যের বিষয় হচ্ছে ২০২০ ও ২০২১ সালে মহামারীর সবচেয়ে বাজে সময়ে জকোভিচ ইউএস ওপেনে খেলার অনুমতি পেয়েছিলেন। নিউ ইয়র্কে এ পর্যন্ত ২০১১, ২০১৫ ও ২০১৮ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন জকোভিচ।
ভ্যাকসিন না নেবার কারনে এ বছর ইন্ডিয়ান ওয়েলস, মিয়ামি ও সিনসিনাতি মাস্টার্স ছাড়াও মনিট্ট্রয়ালেও খেলতে পারেননি এই সার্বিয়ান তারকা। জুলাইয়ে উইম্বলডনের সপ্তম শিরোপা জয়ের পর এখনো পর্যন্ত কোর্টে নামেননি জকোভিচ।
২০২০ সালে লাইন জাজকে ভুলবশত: বল ছুঁড়ে মারার দায়ে তাকে ইউএস ওপেন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। গত বছর ফাইনালে দানিল মেদভেদেভের কাছে পরাজিত হয়ে রানার-আপ হন সাবেক এই নাম্বার ওয়ান।