বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত দুই সপ্তাহে ভারত থেকে ৭৭৮ মেট্রিক টন অক্সিজেন আমদানি হয়েছে। এর আগে গত ২১ এপ্রিল কোনো ঘোষণা ছাড়ায় অক্সিজেন সংকট দেখিয়ে বাংলাদেশে রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) দিনগত রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার।
লিনডে বাংলাদেশ লিমিটেড কোম্পানির প্রতিনিধি শুভ জানান, ভারতে করোনা পরিস্থিতির একটু উন্নতি হওয়ায় সে দেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটি আবারও বাংলাদেশে অক্সিজেন সরবরাহ শুরু করেছে। এদিকে দেশে প্রতিনিয়ত অক্সিজেনের চাহিদা বেড়ে চলেছে। সে কারণে জরুরি পণ্য সরবরাহের তালিকায় থাকায় দ্রুত কাস্টমসের কাগজপত্রের কাজ সম্পূর্ণ করে অক্সিজেনের চালানটি দ্রুত খালাস করা হচ্ছে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, দেশের চিকিৎসাখাতে অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে বড় একটি অংশ আমদানি হয় প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে। প্রতিমাসে শুধু বেনাপোল বন্দর দিয়েই প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন অক্সিজেন আমদানি হয়ে থাকে। করোনাকালীন আক্রান্তদের জীবন বাঁচাতে সম্প্রতি এ অক্সিজেনের চাহিদা আরও বেড়েছে। তবে ভারতে অক্সিজেন সংকট দেখা দেওয়ায় গত দুই মাস ধরে বাংলাদেশ অক্সিজেন রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারত। বর্তমানে ভারতে অক্সিজেন সংকট দুর হলে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে বাংলাদেশে অক্সিজেন রপ্তানি শুরু করেছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, বাংলাদেশি পাঁচটি অক্সিজেন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে অক্সিজেন আমদানি করে থাকে। হঠাৎ ভারতে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ায় অক্সিজেন সংকটের কারণে গত ২১ এপ্রিল থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশে অক্সিজেন রপ্তানি বন্ধ রাখে ভারত। তবে তাদের অক্সিজেন সংকট কিছুটা দূর হলে গত ২০ জুন থেকে অক্সিজেন রপ্তানি সচল করে ভারত।
তিনি আরও জানান, অক্সিজেন আমদানি সচল হওয়ায় গত দুই সপ্তাহে ভারত থেকে বাংলাদেশে অক্সিজেন আমদানি হয়েছে ৭৭৮ মেট্রিক টন। এছাড়া অক্সিজেন আমদানিকারকরা যাতে দ্রুত অক্সিজেন খালাস নিতে পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।