চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর পশ্চিমা মোড়লরা রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। রাশিয়ার জ্বালানি না কেনার সিদ্ধান্তও নেয় বেশ কয়েকটি দেশ।
তবে সেসব আন্তর্জাতিক কূটনীতির উল্টো পথে হেঁটেছে এশিয়ার দুই পরাশক্তি ভারত ও চীন। মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার পর দেশটির কাছ থেকে ২৪ বিলিয়ন ডলারের জ্বালানি কিনেছে ভারত ও চীন।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারির শেষ সময় থেকে পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে জ্বালানি বাবদ রাশিয়াকে ১৮.৯ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে চীন। যা গত বছর একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ।
অন্যদিকে ভারত রাশিয়াকে এই সময়ে জ্বালানি বাবদ দিয়েছে ৫.১ বিলিয়ন ডলার। অন্য সময়ের তুলনায় যা পাঁচগুণ বেশি! এ সময়ের মধ্যে রাশিয়া লাভ করেছে ১৩ বিলিয়ন ডলার।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে শাস্তি দিতে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তাদের জ্বালানির মূল্য এবং সরবরাহে বিধি-নিষেধ আরোপ করেছিল পশ্চিমা দেশগুলো।
সেসব নিষেধাজ্ঞায় উল্টো রাশিয়ার জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তাদের পণ্য আরও বেশি করে কেনা শুরু করে নিষেধাজ্ঞায় অংশ না নেয়া দেশগুলো।
আর এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা অন্য যে দেশগুলো জ্বালানি কেনা বন্ধ করে দেয়ায় রাশিয়া যে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল সেটি কেটে যায়।
সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের প্রধান বিশ্লেষক লরি মিলিভার্তা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রুশ জ্বালানি প্রবাহ নিয়ে বিশ্লেষণ করছেন।
তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়া যা কিছু পাইপলাইন এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় বন্দরের মাধ্যমে রপ্তানি করতে পারছে, মোটামুটি তার সবই কিনছে চীন। অন্যদিকে ইউরোপ বিমুখ হওয়ার পর আটলান্টিক পাড়ি দেয়া রুশ কার্গো জাহাজ ব্যবহার করে রপ্তানি বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত।