‘দেশ থেকে যানবাহনের মাধ্যমে ভারতে তেল পাচার হচ্ছিল’ মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ থেকে কিছু কিছু তেল পাচার হয়ে যাচ্ছিল। ভারত থেকে আসা যানবাহনগুলো এদেশে আসার সময় তেলের ট্যাংক খালি করে এসে যাওয়ার সময় তেল ভরে নিয়ে যায়। কখনো কখনো ড্রামে করেও তেল নিয়ে যেতো।
সোমবার (৮ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের বিশাল সংকট তৈরি হয়েছে। ফলে জ্বালানি খাতে অব্যাহত ভর্তুকি দেয়া সম্ভব নয়। গত তিনমাসে বিপিসি’র সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। বিপিসি’র পক্ষে এতো ভর্তুকি দেয়া সম্ভব নয়।
‘বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলে সেটার প্রভাব বাংলাদেশে আসতে দেড় থেকে দুইমাস লাগে’ জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, জ্বালানি তেলের দাম আরও আগে বাড়ানো উচিত ছিল। একবারে বাড়ানোতে মানুষ হতচকিত হয়ে গেছে। বিশ্ব প্রেক্ষাপটে বাধ্য হয়েই দাম বাড়াতে হয়েছে। বিশ্ববাজারে দাম কমলে দেশেও জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করা হবে।
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব এখনই অন্যান্য খাতে পড়ার কোনো কারণ নেই বলেও জানান মন্ত্রী।
বিএনপির উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, বিএনপির হাকডাক বহুদিন ধরেই শুনছি। আপনাদের প্রতি আহ্বান বিশ্ব পরিস্থিতির দিকে তাকান। মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবেন না- মানুষ সবই বুঝে।