দেশের ব্যাংকগুলোর কাছে থাকা অতিরিক্ত টাকা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী সোমবার (৯ আগস্ট) থেকে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক বিল’-এর মাধ্যমে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কত টাকা তুলে নেয়া হবে তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।
এর আগে ২০১৮ সালের ২৯ মার্চ সর্বশেষ ব্যাংকগুলো থেকে এভাবে টাকা তুলে নেয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে ব্যাংকগুলোকে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক বিল’-এ অংশগ্রহণের জন্য আজ বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, মুদ্রাবাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে বাজারে অতিরিক্ত তারল্য নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক বিলের নিলাম অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছে এই বিল বিক্রি করে বাজার থেকে অতিরিক্ত টাকা তুলে নেবে। এর বিপরীতে ব্যাংকগুলো মুনাফা পাবে।
এর আগে গত ২৯ জুলাই চলতি অর্থবছরের মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়। সে সময় বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, অতিরিক্ত তারল্য আর্থিক খাতে বুদবুদ তৈরি করলে তা তুলে নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। অতিরিক্ত তারল্যের কারণে মূল্যস্ফীতি বা সম্পদের দাম বেড়ে গেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন নীতি গ্রহণে দ্বিধা করবে না।
করোনা মহামারির মধ্যে প্রবাসী আয় অনেক বেড়েছে। একই সঙ্গে ব্যাংকগুলোতে আমানতের পরিমাণও বেড়েছে। এতে ব্যাংকগুলোতে প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকা জমা আছে যার মধ্যে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা একেবারেই অলস। বাকি টাকায় কেনা হয়েছে বিভিন্ন বিল ও বন্ড। অনেক ব্যাংক অলস টাকার অপব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।