করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত চলমান লকডাউনে পোশাক শিল্পের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের নেতৃত্বে বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ বৃহস্পতিবার ( ২৯ জুলাই ) সকাল ১১টায় মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে তার সচিবালয়স্থ কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় বসেছেন। বৈঠকে বিজিএমইএর কয়েকজন সাবেক সভাপতি, এফবিসিসিআই নেতৃবৃন্দ বিকেএমইএ ও বিটিএমএ’র নেতারাও উপস্থিত রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৩ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে; যা আগামী ৫ আগস্ট দিনগত রাত ১২টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধে সব ধরনের শিল্পকারখানা বন্ধ থাকবে।
তবে গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের দাবি, এতে রফতানিমুখী তৈরি পোশাক খাত বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ছে।
এর আগে গত ১৩ জুলাই দুপুরে বিধিনিষেধ সংক্রান্ত জারি করা প্রজ্ঞাপনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানায়, বিধিনিষেধে সব ধরনের শিল্প-কলকারখানা বন্ধ থাকবে। যদিও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকেই পোশাক (গার্মেন্টস) কারখানা খোলা রাখার ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা সরকারের বিভিন্ন মহলে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। গার্মেন্ট কারখানা খোলা রাখার ব্যাপারে তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছেও চিঠি দেন।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, পোশাক শিল্পের শ্রমিকেরা নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে কাজ করেন। দিনের অধিকাংশ সময় (মধ্যাহ্ন বিরতিসহ ১১ ঘণ্টা) কর্মক্ষেত্রে সুশৃঙ্খল ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে থাকেন তারা। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঈদের ছুটিসহ ১৮-২০ দিন কারখানা বন্ধ থাকলে গ্রীষ্ম, বড়দিন ও শীতের ক্রয়াদেশ হাতছাড়া হয়ে যাবে।
পোশাকশিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ নেতাদের প্রত্যাশা ছিল, করোনা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলে ১ আগস্ট থেকে কারখানা খোলার সুযোগ দেবে সরকার। এমন বার্তা নিজেদের সংগঠনের মধ্যেও ছড়িয়ে দিয়েছেন তারা।
এদিকে, মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) করোনা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে সচিবালয়ে বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ বহাল থাকবে। এ সময় শিল্পকারখানা বন্ধ রয়েছে। বিধিনিষেধ চলাকালে শিল্প-কারখানা খুলবে না।
শিল্প-কারখানা খোলা সংক্রান্ত ইস্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৫ আগস্টের আগে শিল্প-কারখানা খোলা যায় কিনা সে বিষয়ে শিল্পপতিসহ অনেকেই সরকারকে অনুরোধ করেছেন। কিন্তু এই অনুরোধ সম্ভবত রাখতে পারছি না।