বোর্নমাউথকে ৯-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড স্পর্শ করেছে লিভারপুল। শনিবার এ্যানফিল্ডে এই জয়ের মাধ্যমে চার ম্যাচ পরে মৌসুমের প্রথম জয় নিশ্চিত করলো অল রেডরা।
ম্যাচে রবার্তো ফিরমিনো ও লুইস দিয়াজ দুটি করে গোল করেছেন। এছাড়া স্কোরশিটে আরো নাম লিখিয়েছেন হার্ভে এলিয়ট, ট্রেন্ট আলেক্সান্দার-আর্নল্ড, ভার্জিল ফন ডিক, ফ্যাবিও কারভারলহো। একটি এসেছে ক্রিস মেফামের আত্মঘাতি গোলের মাধ্যমে। এনিয়ে প্রিমিয়ার লিগে চতুর্থবারের মত ৯ গোলের রেকর্ড হলো। এর আগে ১৯৯৫ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ৯-০ গোলে ইপসুউইচকে, গত বছর একই ব্যবধানে ইউনাইটেড সাউদাম্পটনকে এবং ২০১৯ সালে লিস্টার ৯-০ গোলে সাউদাম্পটনকে পরাজিত করেছিল।
আগের ম্যাচে লিভারপুল ২-১ গোলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে পরাজিত হয়েছিল। এর আগে মৌসুমের শুরুর দুই ম্যাচে ফুলহ্যাম ও ক্রিস্টাল প্যালেসের সাথে ড্র করে পয়েন্ট হারিয়েছে জার্গেন ক্লপের দল। গত এক দশকে এটাই লিভারপুলের সবচেয়ে বাজেভাবে মৌসুম শুরুর ঘটনা। প্রথম তিন ম্যাচে অবশ্য লিভারপুল দলের অন্যতম স্ট্রাইকার সাদিও মানের বিদায় বেশ অনুভব করেছে। কাল ঘরের মাঠে তিন মিনিটের মধ্যে ফিরমিনোর ক্রসে দিয়াজ গোলের সূচনা করেন। তিন মিনিট পর ১৯ বছর বয়সী এলিয়টের গোলেরও যোগানদাতা ছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান। ২৮ মিনিটে ২০ মিটার দুর থেকে কোনাকুনি শটে আলেক্সান্দার-আর্নল্ড দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন। ৩১ মিনিটে ফিরমিনো পোস্টের খুব কাছ থেকে নিজের প্রথম গোলটি করেন। এন্ডি রবার্টসনের কর্ণার থেকে ফন ডিকের গোলে ৫-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় লিভারপুল। এনিয়ে প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে প্রথমবারের মত প্রথমার্ধে পাঁচ গোল করার রেকর্ড গড়েছে লিভারপুল।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর সাথে সাথে আলেক্সান্দার-আর্নল্ডের ক্রসে নিজের জালেই বল জড়ান মেফাম। ৬২ মিনিটে রবার্টসনের আরো একটি বিপদজনক ডেলিভারিতে ফিরমিনো লিভারপুল ক্যারিয়ারে শততম গোলের কৃতিত্ব অর্জন করেন। ৮০ মিনিটে কোসটাস টিসিমিকাসের পাসে পর্তুগীজ টিনএজার কারভালহো আরো একটি গোল করেন। ফুলহ্যাম থেকে এ্যানফিল্ডে যোগ দেবার পর এটাই কারভালহোর প্রথম গোল। ম্যাচ শেষের ৬ মিনিট আগে দিয়াজের গোলে লিভারপুলের বড় জয় নিশ্চিত হয়।
এদিকে দিনের আরেক ম্যাচে আর্লিং হালান্ডের হ্যাটট্রিকে ম্যানচেস্টার সিটি দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ক্রিস্টাল প্যালেসকে ৪-২ ব্যবধানে পরাজিত করেছে। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে জন স্টোনসের আত্মঘাতি গোল ও জোয়াকিম এন্ডারসনের হেডে প্রথমার্ধে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল সিটিজেনরা। এনিয়ে প্রিমিয়ার লিগে শেষ ছয় ম্যাচের চার ম্যাচেই সিটি দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও জয় পেয়েছে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বার্নান্ডে সিলভা এক গোল পরিশোধ করেন। বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে ৫০ মিলিয়ন পাউন্ডে সিটিতে আসার পর ৬২ মিনিটে নিজের প্রথম গোল করেন হালান্ড। ৭০ ও ৮১ মিনিটে আরো দুই গোল করে নরওয়েজিয়ান এই তরুন হ্যাটট্রিক পূরণ করেন। এনিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সিটি পিছিয়ে থেকে শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট নিয়ে বাড়ি ফিরেছে। গত সপ্তাহে নিউক্যাসলের বিপক্ষে ৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ৩-৩ গোলে ড্র করতে সক্ষম হয়েছিল পেপ গার্দিওলার দল।
দিনের শুরুতে ব্রুনো ফার্নান্দেসের একমাত্র গোলে সাউদাম্পটনকে ১-০ গোলে পরাজিত করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এনিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ী হয়ে এরিক টেন হাগের দল এখন টেবিলের সপ্তম স্থানে অবস্থান করছে। সেন্ট মেরিস স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৫৫ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন ফার্নান্দেস।