দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরিচালনা পর্ষদ নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে নানা সংকট চলছে। এ পরিস্থিতিতে বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল ও উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান/সভাপতি বা সদস্যদে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক (গ্রাজ্যুয়েট) কেন নির্ধারণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
জনস্বার্থে দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে এ রুল জারি করেন বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
গত বছরের নভেম্বরে লিগ্যাল সাপোর্ট অ্যান্ড পিপলস রাইটস ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জহির উদ্দিন লিমন এ রিট দায়ের করেছিলেন।
রুলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড (মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি) প্রবিধানমালা-২০০৯ এ ব্যাখ্যা ছাড়া ‘স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি বা স্থানীয় খ্যাতিমান সমাজ সেবক’ শব্দগুলো অন্তুর্ভুক্ত করা কেন অবৈধ হবে না, একইসঙ্গে ‘স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি, খ্যাতিমান সমাজ সেবক’ শব্দগুলোর ব্যাখ্যা করার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের গর্ভনিং বডির চেয়ারম্যান/সভাপতি বা সদস্যদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক (গ্রাজ্যুয়েট) কেন নির্ধারণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এবং উচ্চ ও মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
শনিবার জহির উদ্দিন লিমন জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড (মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি) প্রবিধানমালা-২০০৯ এ ৫(৩) ও ৮(৩) বিধিতে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি ও সমাজ সেবকরাকে ম্যানেজিং কমিটি এবং গর্ভনিং বডির সভাপতি করার বিধান রাখা হয়। কিন্তু কারা শিক্ষানুরাগী ও সমাজ সেবক তার কোনো ব্যাখ্যা নেই।