বিশ্বজুড়ে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭২৭ জন। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ১ হাজার ১ জন। মঙ্গলবার (২১ জুন) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস এমন তথ্য জানায়।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭২৭ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে দেড় শতাধিক। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৩ লাখ ৪১ হাজার ৭৩২ জনে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ১ হাজার ১ জন। যা আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪৫ হাজার। এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪ কোটি ৪৭ লাখ ৯৮ হাজার ৯৬৮ জনে।
ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে দৈনিক মৃত্যুর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে তাইওয়ান। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৪৪ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৫ হাজার ৬৩২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে ব্রাজিলে। দেশটি করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যার তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০৮ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৫১ হাজার ৯২৫ জন।
এ সময় রাশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৪ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৬৬৭ জন।
নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৫৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৪৫ জন। দক্ষিণ আফ্রিকায় এ সময়ে মারা গেছেন ১৬ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯১ জন।
যুক্তরাজ্যে মারা গেছেন ২২ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ১৪২ জন। যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৫৯০ জন এবং মারা গেছেন ৩১ জন। মেক্সিকোতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৫০৯ জন এবং মারা গেছেন ১০ জন।
ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৫৭১ জন এবং মারা গেছেন ৫৯ জন। জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৮৮৪ জন এবং মারা গেছেন ৯ জন।
এছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ২১৪ জন এবং মারা গেছেন ১৩ জন। থাইল্যান্ডে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭৮৪ জন এবং মারা গেছেন ১৮ জন। চিলিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৪৮৯ জন এবং মারা গেছেন ২৬ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে ভাইরাসটি আক্রান্ত হয়ে প্রথম রোগী মারা যান বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে ১৯ লাখ ৫৭ হাজার ২০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ২৯ হাজার ১৩২ জন।