রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন

বিশ্বব্যাংক ও এডিবির কাছেও ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : আগস্ট ৩, ২০২২

বিশ্বব্যাংক (ডব্লিউবি) ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) কাছেও ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে এ সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে কাতারের দোহাভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্যা জানানো হয়েছে।

ব্যাপারটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেল ও খাদ্যশস্যের দাম বেড়ে গেছে। ফলে পণ্যগুলো আমদানি করতে বেশি ডলার গুণতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ কমে গেছে। যার প্রভাব পড়েছে দেশের সার্বিক অর্থনীতির ওপর। মূলত সেই অবস্থার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে এ অর্থ সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

তারা বলছেন, বিশ্বব্যাংক ও এডিবির প্রত্যেকের কাছে ১ বিলিয়ন ডলার করে ঋণ চেয়ে চিঠি লিখেছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ বৈশ্বিক দুই ঋণদাতা গোষ্ঠীর কাছে মোট ২ বিলিয়ন ডলার সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

তবে এ নিয়ে খবর এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। তাই নিজেদেরও নাম জানাননি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ বলে খবর বের হয়। দেশের অর্থনীতির ওপর ক্রমবর্ধমান চাপের সঙ্গে ভারসাম্য আনতে এ অর্থ চাওয়া হয়।

বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির কাছে সহায়তা চায় পাকিস্তান ও শ্রীলংকাও। দক্ষিণ এশিয়া থেকে সেই তালিকায় যুক্ত হয় বাংলাদেশ।

গত ২৭ জুলাই ঢাকায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, কেবল আইএমএফের কাছে নয়, আমরা বিশ্বব্যাংক ও এডিবির কাছেও যাব। তবে সদ্য প্রকাশ্যে আসা বিষয়গুলো নিয়ে ফোনে যোগাযোগ করা হলে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। এমনকি তার মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তাও এ নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

গত ২৭ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৯ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। তবে চলতি বছরের শুরুতে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। গত জুনে শেষ হওয়া সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ঘাটতি রেকর্ড ৩৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ