চলমান লকডাউনের মধ্যেও বিধিনেষেধ অমান্য করে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার কওমি মাদরাসাগুলোর কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে কওমি মাদরাসাও বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাদরাসাগুলো চালিয়ে যাচ্ছিল তাদের শিক্ষা কার্যক্রম। লকডাউনের ঘোষণার পরও মাদরাসা খোলা রেখে কার্যক্রম পরিচালনা করায় অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসময় উপজেলার দোল্লাই নবাবপুর ইউনিয়নের ৫টি কওমি মাদরাসা খোলা রাখায় নগদ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে করা হয়। গতকাল রোববার দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ওই ৫টি মাদরাসা হলো রিয়াজুল জান্নাত মহিলা মাদরাসা, দারুল কুরআন মাদরাসা, তাহফিজুল কুরআন মাদরাসা, নূরে মদিনা সুন্নীয়া হাফিজিয়া মাদরাসা এবং নাজাত মহিলা মাদরাসা।
মাদরাসায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উপস্থিত রেখে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার অপরাধে প্রতিষ্ঠানের প্রধান সফিকুর রহমান, মো. ফয়েজুল্লাহ, মো. মিজানুর রহমান,মো. সাখাওয়াত হোসেন ও মো. নুরুল ইসলামকে মোট ১ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবাইয়া খানম ওই অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় চান্দিনা থানা পুলিশ ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করেন।
তিনি জানান, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় মাদরাসা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করতে অভিযান অব্যাহত থাকার আশ্বাস দেন।
এদিকে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকানপাট খোলা রাখার অপরাধে আরও ২২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুন নাহার । এ ভ্রাম্যমাণ আদালতে উভয় টিমে মোট ২৮টি মামলা দায়ের করা হয়।