দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী ২০২১-২০২২ অর্থবছরের ২৪০ কর্মদিবসে মোট ৩ লাখ ১৮ হাজার ৭২০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। যা একক অর্থবছরের হিসাবে পুঁজিবাজারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেনের নতুন রেকর্ড।
শনিবার (২ জুলাই) ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইর তথ্য মতে, ২০২১ সালে জুলাই থেকে ২০২২ সালে ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে মোট ২৪০ কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ দিন ৩০ জুন (বৃহস্পতিবার) ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯৩৭ কোটি টাকা। বছরের প্রথম দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৫৫১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এই সময়ে ডিএইতে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে ৪শ কোটি টাকার নিচে আবার সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকার ওপরে।
সেই হিসাবে ডিএসইতে গড় লেনদেন দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩২৮ কোটি টাকা।
এর আগের ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ২৪১ দিন লেনদেন হয়েছিল। সে সময়ে প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৩১ কোটি টাকা। অর্থাৎ লেনদেন হয়েছিল ২ লাখ ৪৮ হাজার ৪৭১ কোটি টাকা। অর্থাৎ এই অর্থবছরে ৭০ হাজার কোটি টাকা বেশি লেনদেন হয়েছে।
ডিএসইর ইতিহাসে ২০১০-২০১১ অর্থবছরে পুঁজিবাজারে গড়ে দৈনিক লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা। এটিই ছিল পুঁজিবাজারের ইতিহাসে সর্বোচ্চ লেনদেনের বছর।
বিদায়ী বছরে লেনদেনের পাশাপাশি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিওর) মাধ্যমে ছয়টি কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে ৬৯৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা উত্তোলন করেছে। এর আগের অর্থবছরে ১৬টি প্রতিষ্ঠান আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে থেকে ১ হাজার ৬১০ কোটি ৮৭ লাখ ২৩ হাজার ৪৫ টাকা সংগ্রহ করেছিল।
এছাড়াও সাতটি প্রতিষ্ঠানকে বন্ড ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। প্রতিষ্ঠান সাতটি হলো- বেক্সিমকো গ্রীন সুকুক লিমিটেড, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিবিএল), শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক (এসজেআইবিএল), আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক (এআইবিএল), পূবালী ব্যাংক এবং সিটি ব্যাংক লিমিটেডে।
সাতটি কোম্পানির মধ্যে গ্রীন সুকুক বন্ডের মাধ্যমে বেক্সিমকো লিমিটেড পুঁজিবাজার থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা উত্তোলন করেছে। বাকি ছয় কোম্পানি পারপাচ্যুয়াল বন্ডের মাধ্যমে বাজার থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা উত্তোলন করেছে। এদের মধ্যে প্রিমিয়ার ব্যাংক উত্তোলনে করেছে ২০০ কোটি টাকা। আইবিবিএল দ্বিতীয় পারপাচ্যুয়াল মুদারাবা বন্ড বাবদ উত্তোলন করেছে ৮০০ কোটি টাকা, এসজেআইবিএল মুদারারা পারপাচ্যুয়াল বন্ড বাবদ উত্তোলন করেছে ৫০০ কোটি টাকা। এছাড়াও এআইবিএল মুদারাবা পারপাচ্যুয়াল বন্ডের মাধ্যমে উত্তোলন করেছে ৫০০ কোটি টাকা। পূবালী ব্যাংক এবং সিটি ব্যাংক ৫০০ কোটি টাকা করে পারপাচ্যুয়াল বন্ডের মাধ্যমে পুঁজিাবাজার থেকে ১০০০ হাজার কোটি টাকা উত্তোলন করেছে।