ফেইসবুক ও গুগলের পর এবার বাংলাদেশে ভ্যাট নিবন্ধন নিয়েছে মাইক্রোসফট।
মাইক্রোসফট ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেট থেকে অনাবাসী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবসায় নিবন্ধন নম্বর (বিআইএন) নিয়েছে, যা ভ্যাট নিবন্ধন হিসেবে পরিচিত।
ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার এস এম হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মাইক্রোসফট রিজিওনাল সেলস প্রাইভেট লিমিটেড সিঙ্গাপুর শীর্ষস্থানীয় আমেরিকান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বরের জন্য নিবন্ধন করেছে।
এর আগে ১৩ জুন ফেইসবুক এবং ২৫ মে গুগল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআরে ভ্যাট নিবন্ধন করেছিল।
এনবিআর এর আগে ২০১৯ সালের ২৬ জুন মূসক আদায়ে বাংলাদেশে ফেইসবুক, গুগল ও ইউটিউবের মতো ইন্টারনেট সেবা এবং বেতার-টেলিভিশনে সম্প্রচার সেবাদাতা অনাবাসীদেরকে প্রতিনিধি নিয়োগ দিতে হবে বলে সার্কুলার জারি করেছিল।
মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ অনুযায়ী করযোগ্য আমদানি ও করযোগ্য সরবরাহের উপর ১৫ শতাংশ হারে মূসক কাটা হবে।
প্রচলিত ভ্যাট আইনে বিদেশে অবস্থিত কোম্পানিগুলোর বাংলাদেশে নিবন্ধন নেওয়ার সুযোগ নেই। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন নিতে স্থানীয় অফিস খোলা অথবা এজেন্ট নিয়োগ করতে হয়। দেশে প্রযুক্তি নির্ভর সেবার চাহিদা বৃদ্ধির ফলে আন্তর্জাতিক পরিসর এ ধরনের সেবা নেওয়া ও পণ্য কেনা বাবদ ব্যয় বাংলাদেশ থেকে পরিশোধ বেড়েছে। বিশেষ করে গুগল, ফেসবুকের মতো প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর বিজ্ঞাপন যাচ্ছে। আবার ইউটিউব, নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম, ওরাকল, মাইক্রোসফট, হইচই, টিকটক, জুম, স্কাইপি, স্ল্যাক ইত্যাদি থেকে পণ্য ও সেবা কেনা বেড়েছে। অনেকে ভিডিও, অ্যাপ, ই-বুক, ওয়েবসাইট সাপোর্ট ইত্যাদি নিয়ে থাকেন।
এ অবস্থায় নতুন ভ্যাট আইনে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে স্থানীয় অফিস খোলা বা স্থানীয় এজেন্ট নিয়োগের বিধান করা হয়। তারপর থেকে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান সরাসরি ভ্যাটের নিবন্ধন নিচ্ছে। কোনো প্রতিষ্ঠান স্থানীয় এজেন্ট নিয়োগ করে নিবন্ধন নিচ্ছে।