বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সিলেট-সুনামগঞ্জের অনেক এলাকা। দৃশ্যমান হচ্ছে রাস্তাঘাট ও সেতুর ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে অনেক পরিবার। এদিকে, ঘরবাড়িতে পানি জমে থাকায় আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়তে পারছেন না হবিগঞ্জ, মৌলভাবাজার ও নেত্রকোণার বানভাসিরা। উত্তরাঞ্চলে পানি কমলেও তীব্র হয়েছে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে গোখাদ্য সংকট।
সিলেটে বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও এখনো জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার ও বালাগঞ্জ উপজেলা সদর। কুশিয়ারা তীরের ২ শতাধিক আশ্রয় কেন্দ্রে বসবাস করছে ১০ হাজার মানুষ।
এদিকে, সিলেটে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারীভাবে ত্রান বিতরণ কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। বন্যার্ত এলাকায় বিতরণ করা হচ্ছে চাল- ডালসহ শুকনো খাবার।
সুনামগঞ্জে রাস্তাঘাট ও সেতু কালভার্টের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সদরের সাথে তাহিরপুর, বিশ্বম্ভপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতক, দিরাই, শাল্লা ও জগন্নাথপুরে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বন্যায় ১২ উপজেলায় ২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা ও ১২০টি সেতু-কালভার্ট নষ্ট হয়েছে। এলজিইডি জানিয়েছে, সংস্কারের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হবিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে বানিয়াচং, লাখাই, আজমিরীগঞ্জ, নবীগঞ্জ ও মাধবপুর উপজেলার নি¤œাঞ্চল। পানিবন্দি অন্তত ৭ লাখ মানুষ। এদিকে, ত্রাণের চাল কম দেয়ার অভিযোগ করেছেন বন্যার্তরা। অপরদিকে বরাদ্দ কম বলছেন জনপ্রতিনিধিরা।
এদিকে, বাড়িতে এখনো পানি থাকায় আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়তে পারছেন না নেত্রকোণার বানভাসিরা। ৩৩৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন ১ লাখ ১০ হাজার মানুষ। পানিবন্দি দুই লক্ষাধিক মানুষ।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত নগদ ২৮ লাখ টাকা, ৫শ’ ৩৬ মেট্রিক টন চাল ও ৫ হাজার ৬শ ৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরাও ত্রাণ বিতরনসহ চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।
মৌলভীবাজারে বড়লেখার পানি নেমেছে। প্লাবিত হয়েছে জুড়ি ও কুলাউড়া শহর। আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে মানুষ ও গবাদি পশু।
কুড়িগ্রামে ৯ উপজেলার ৩৮ হাজার ৯৭ পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ। চারনভূমি তলিয়ে যাওয়ায় তীব্র হয়ে উঠেছে গো-খাদ্য সংকট।
গাইবান্ধায় সবগুলো নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। অন্তত ১২টি পয়েন্টে শুরু হয়েছে ভাঙ্গন।