বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সাইবার আইনের প্রত্যাহার হচ্ছে ৫৮১৮ মামলা নদী দূষণমুক্ত করা গেলে পরিবেশ উন্নত হবে ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক অফিস আদালত খুলেছে, যানচলাচল স্বাভাবিক ছাগলকাণ্ডে মতিউর ও তার স্ত্রী এবং সন্তানদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত বরুড়ায় মামার বিরুদ্ধে ভাগিনার প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ! মোশারফ প্যারিস অলিম্পিকে ডাক পেলেন অলিম্পিক রিংয়ে সাজবে আইফেল টাওয়ার প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা! বরিশাল প্লে-অফে শক্তিশালী হচ্ছেন রওশন, দুর্বল জিএম কাদের! খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মিনিট পরপর চলবে মেট্রোরেল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন ৪৮ নারী প্রার্থী সিরিজ নির্বাচন করতে চায় ইসি

বজ্রপাতে প্রাণহানী ২৮০০

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : অক্টোবর ১২, ২০২১

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান জানিয়েছেন, ২০১১ সাল থেকে এ পর্যন্ত গত ১১ বছরে বজ্রপাতে মোট ২ হাজার ৮০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বজ্রপাতে মৃত্যু ঠেকাতে ৪৭৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।

১৩ অক্টোবর আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ও ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির ৫ বছর পদার্পণ উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

এ প্রকল্পের আওতায় বজ্রপাতের ৪০ মিনিট আগে সতর্কবার্তা দেওয়ার যন্ত্র কিনবে সরকার। একই সঙ্গে বজ্রপাত থেকে বাঁচতে আশ্রয়কেন্দ্র করা হবে।

বর্তমানে দুর্যোগের ১৬টি ক্যাটাগরি রয়েছে। ২০১৫ সালে বজ্রপাতকে দুর্যোগের তালিকায় যুক্ত করা হয়। এসব কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বজ্রপাত নিয়ে ৪৭৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। তিনটি পর্যায় রয়েছে এই প্রকল্পের। মানুষকে সচেতন করার জন্য কাজকর্ম করবো। বজ্রপাতের আগে মেঘের মধ্যে গুড়ুগুড়ু ডাক হবে। পজিটিভ-নেগেটিভ চার্জগুলো তৈরি হবে। চার্জ তৈরি হওয়ার ৪ মিনিট পরই বজ্রপাত হয়। এজন্য গুড়ুগুড়ু ডাক শুনলে যাতে মানুষ ঘরে থাকে বা মেঘ দেখে যাতে ঘরে থাকে। সেই সচেতনতা তৈরির কাজ আমরা করবো।

তিনি বলেন, আধুনিক বিশ্বে বজ্রপাতের ক্ষেত্রেও সাইক্লোনের মতো আগাম সতর্কবার্তা দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। কতগুলো মেশিন তৈরি করা হয়েছে যেগুলো ৪০ মিনিট আগেই শনাক্ত করতে পারে বজ্রপাত হবে এবং কোথায় হবে সেটা বলতে পারে। তাই বজ্রপাতের ক্ষেত্রে আর্লি ওয়ার্নিং দেওয়ার মেশিনগুলো আমরা বসাবো।

‘প্রাথমিকভাবে বজ্রপাত প্রবণ যে অঞ্চলগুলো আছে সেখানে বিশেষ করে হাওর-বাওড় এলাকায় গুরুত্ব আমরা বেশি দিয়েছি। এই সিগন্যালটা যাতে একটি অ্যাপের মাধ্যমে স্থানীয় মানুষের মোবাইলে ম্যাসেজ আকারে যেতে পারে, সেই কাজও আমরা শুরু করবো।’

এনামুর রহমান বলেন, আমরা যতগুলো মৃত্যুর খবর দেখেছি, সবগুলো খোলা মাঠ ও হাওরের মধ্যে। শহরে যারা ঘরবাড়িতে বসবাস করে তারা বজ্রপাতে মৃত্যুবরণ করে না। আমরা বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের মতো বজ্রপাত আশ্রয়কেন্দ্র করার পরিকল্পনা করেছি। বজ্রপাতপ্রবণ এলাকা এবং অন্য এলাকায়ও এটা হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ডিজাইন করেছি, এক ডেসিমেল জায়গায় একটা পাকা ঘর থাকবে। প্রত্যেক ঘরে একটি করে লাইটনিং অ্যারেস্টার দেওয়া হবে। যাতে ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যে সতর্কবার্তা শোনার পর মানুষ সেই আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পারে। বজ্রপাত না হওয়া পর্যন্ত তারা অপেক্ষা করবে।

‘আশ্রয়কেন্দ্রগুলো বহুমুখী হবে। এখানে কৃষক ও মৎস্যজীবীরা সকালে নাস্তা করতে পারবেন। দুপুরে খেতে পারবেন। ঝড়-বৃষ্টিতে আশ্রয় নিতে পারবেন। কেউ চাইলে বিশ্রামও নিতে পারবেন’, বলেন প্রতিমন্ত্রী।

২০১১ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৮০০ জন মানুষ বজ্রপাতে মারা গেছে। নিহতদের নাম ঠিকানাসহ তালিকা মন্ত্রণালয়ের কাছে রয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।

২০১১ সালে ১৭৯, ২০১২ সালে ২০১ জন, ২০১৩ সালে ১৮৫ জন, ২১৪ সালে ১৭০ জন, ২০১৫ সালে ২২৬ জন, ২০১৬ সালে ৩৯১ জন, ২০১৭ সালে ৩০৭ জন, ২০১৮ সালে ৩৫৯ জন, ২০১৯ সালে ১৯৮ জন ও ২০২০ সালে ২৫৫ জন বজ্রপাতে মারা গেছেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৩২৯ জন মারা গেছেন বলে জানান এনামুর রহমান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ