দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের পথে ৩১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। তারা সবাই আওয়ামী লীগের মনোনীত। এসব ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তারা জয়ী হতে যাচ্ছেন। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে টিকলে প্রত্যাহারের সময় শেষ হওয়ার পর তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করা হবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ আগামী ২৬ অক্টোবর। ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইসির একাধিক কর্মকর্তা জানান, দ্বিতীয় ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। রবিবার দেশের ৮৪৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ৪ হাজার ৮০ জন। এরমধ্যে ৩১টিতে চেয়ারম্যান পদে একজন করে প্রার্থী হয়েছেন। অনেক ইউনিয়ন পরিষদে ২-৪ জন প্রার্থী রয়েছেন। মনোনয়নপত্র বাছাই ও প্রত্যাহারের সময়ে আরও অনেক প্রার্থী কমে আসবে। তখন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপে যে ৩১টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একক প্রার্থী রয়েছে সেগুলো হলো, সিরাজগঞ্জ সদরের সায়দাবাদ, যশোরের চৌগাছার ফুলসারা, মাগুরা সদরের হাজরাপুর এবং বাগেরহাট সদরের গোটাপাড়া ও মোল্লারহাটের গাংনী, জামালপুর সদরের রশিদপুর, শেরপুর সদরের কামারেরচর, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের বলিয়ারদি ও হালিমপুর, মানিকগঞ্জের সিংগাইরের বায়রা, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল ও ভুলতা। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সৈয়দপুর কুমিরা, সোনাইছড়ি ও মুরাদপুর, মিরসরাইয়ের করেরহাট, ধুম, ওসমানপুর, কাটাছড়া, মঘাদিয়া, মায়ানী, হাইতকান্দি ও ইছাখালী। কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার কান্দিরপাড়, গোবিন্দপুর, উত্তরদা, আজগরা, লাকসাম পূর্ব এবং ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার ফুলগাজী ও আনন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদ।
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২১ অক্টোবর জমা পড়া মনোনয়নপত্র বাছাই করবেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। বাছাইয়ে বাতিল বা গ্রহণ হওয়া মনোনয়নপত্রের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত। ২৫ অক্টোবরের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৬ অক্টোবর। চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ও আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু ২৭ অক্টোবর এবং ভোটগ্রহণ হবে ১১ নভেম্বর।