শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন

প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ না করেই ভরাটের অভিযোগ

সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা
আপডেট : আগস্ট ২৮, ২০২২

ভূমি অধিগ্রহণ না করেই কৃষকের জমিতে বালি ফেলে ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরুদ্ধে। এছাড়া অধিগ্রহণ করা জমির মূল্য পরিশোধ নিয়ে জটিলতা তৈরী হওয়ায় জমির মালিকরা মাটি ভরাটের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। দ্রুত জমির পাওনাদি পরিশোধ না করলে আরো কঠোর আন্দোলন করার হুমকি দিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা বলছেন, প্রকল্পের মূল কাজ শুরু হলেই ক্ষতিপূরনের টাকা পাবেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর গতিপথ পরিবর্তন ও ভাঙ্গন রোধে দুটি ক্রসবার তৈরী করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। আর এতে নদীতে জেগে উঠে ১ হাজার ১ একর জমি। এখান থেকে ৩শ ১ একর জমি নিয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল-দুই তৈরী করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।

২০১৮ সালে সিরাজগঞ্জে ইকোনমিক জোনের জমি ভরাটের কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড, এর মধ্যে ২শ ৩৯ একর ব্যক্তিমালিকানা, ১১ একর রেলওয়ের, ১৯ একর জমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের। এছাড়া সরকারি খাস জমি রয়েছে ৩০ একর।

জমির মালিকদের অভিযোগ ৮টি মৌজার ব্যক্তি মালিকানা জমি অধিগ্রহন না করেই স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জমিতে বালু ফেলে ভরাট করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জমির তিনগুণ মুল্য পরিশোধের আশ্বাস দিলেও ৫ বছরেও তা শুরু হয়নি। এজন্য মানববন্ধনসহ স্মারক লিপি দিয়েছে ভূমি স্বার্থ রক্ষা কমিটি। তাতেও কাজ না হওয়ায় বিক্ষুব্ধ কৃষকরা মাটি ভরাটের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।

অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হলে কৃষকরা টাকা পাবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এদিকে, আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দুটি মামলা করেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ