অবশেষে ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল রপ্তানি শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ২ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫৪ টন পণ্যটি রপ্তানি ছাড়পত্র ইস্যু করেছে দেশটি। ইন্দোনেশিয়ান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ওকে নুরওয়ান এ তথ্য দেন।
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর গত বৃহস্পতিবার পাম অয়েল রপ্তানি শুরু করে ইন্দোনেশিয়া। প্রথম দিন ১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬৪ টন পণ্যটি রপ্তানির ছাড়পত্র দেয় দেশটি। অর্থাৎ দিনের ব্যবধানে রপ্তানি ছাড় বেড়েছে।
ওকে নুরওয়ান বলেন, ২১টি কোম্পানিকে পাম অয়েল রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই পরিশোধিত, ব্লিচড ও ডিওডোরাইজড এবং ওলিনের জন্য।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে মালয়েশিয়ার প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য স্টারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৮ এপ্রিল পাম অয়েল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইন্দোনেশিয়া। দেশের অভ্যন্তরে জোগান ঠিক রাখতে এবং মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টানতে এ পদক্ষেপ নেয় দেশটি।
এতে বিশ্বব্যাপী ভোজ্যতেলের দাম বেড়ে যায়। অবশ্য রাশিয়ার আগ্রাসনে ইউক্রেন থেকে সূর্যমুখীর তেল রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় এক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব পড়ে।
পরে আন্তর্জাতিক চাপে ২৩ মে পাম অয়েল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে ইন্দোনেশিয়া। তবে স্থানীয় পর্যায়ে সরবরাহ ঠিক রাখতে রপ্তানিকারকদের ওপর বিধিনিষেধ জারি করে দেশটি। দেশে পর্যাপ্ত মজুত রেখেই তা রপ্তানি করতে পারবেন তারা।
বিশ্বের শীর্ষ পাম অয়েল রপ্তানিকারক ইন্দোনেশিয়া। এরপরই রয়েছে মালয়েশিয়া। তবে শ্রমিক স্বল্পতার কারণে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ার সুবিধা নিতে পারছে না মালয়েশিয়ান সরকার। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে একক আধিপত্য থাকছে ইন্দোনেশিয়ার।