পাকিস্তানের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সংকট বাড়ছে। এর কারণ হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি সংক্রান্ত চুক্তিতে না পৌঁছানোকে দায়ী করা হয়েছে। ওই চুক্তিতে আগামী মাসে করার কথা রয়েছে। আর কাগজ সংকটে দেশটিতে বন্ধ হয়ে গেছে পাঠ্যবই ছাপানো।
এদিকে, আর্থিক সংকট থেকে বাঁচাতে পাকিস্তানকে ২৩০ কোটি ডলার দিচ্ছে চীন। সমঝোতা চলছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফের সঙ্গেও।
আর্থিক সংকটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি যাতে না হয়, সেজন্য সম্প্রতি নানা উদ্যোগ নিয়েছে পাকিস্তান সরকার। চলতি মাসে দেশটির রিজার্ভ ১০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। যা মোট দুই মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে সক্ষম। এমন পরিস্থিতিতে দেশটিতে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার।
বাজেট ঘাটতি কমাতে বৃহৎ শিল্প ও আয় বেশি এমন ব্যক্তিদের ওপর সুপার ট্যাক্স আরোপ করা হয়েছে। মূল্যস্ফীতির মধ্যে দেশের দরিদ্রদের সহায়তায় রাজস্ব বাড়াতে এ উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
সরকারি কর্মচারীদের কাজের সময় সীমিত করাসহ করাচি ও অন্যান্য শহরের শপিংমল ও কারখানা নির্দিষ্ট সময়ের আগে বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এরপরও পাকিস্তানে বাড়ছে জ্বালানি-বিদ্যুৎ সংকট। ব্যবসায়ীদের মতে, ব্যয়বহুল চালানের প্রস্তাব পাওয়ায় জুলাইয়ে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস কেনার একটি দরপত্র বাতিল করে এলএনজি লিমিটেড। চলতি মাসে তৃতীয়বারের মতো চুক্তি করতে ব্যর্থ হলো পাকিস্তান। এ কারণেই বিকল্প পথ বেছে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির জ্বালানি মন্ত্রীর মুখপাত্র জাকারিয়া আলি শাহ।