আবারও পারস্পরিক সুবিধার জন্য সৈয়দপুর বিমানবন্দরের পাশাপাশি মোংলা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের জন্য নেপালকে প্রস্তাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (৫ আগস্ট) সকালে গণভবনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে নেপালের সফররত সংসদীয় প্রতিনিধি দল। এসময় তাদের এ প্রস্তাব দেন সরকার প্রধান।
শেখ হাসিনা বলেন, নেপাল আমাদের মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে সুবিধা নিতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
নেপালের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির ফেডারেল পার্লামেন্টের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কমিটির চেয়ারপারসন পবিত্র নিরুওলা খারেল।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবে গড়ে তুলছে বাংলাদেশ উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, নেপালসহ প্রতিবেশী দেশগুলো বিমানবন্দরটি ব্যবহার করতে পারবে।
বৈঠকে পারস্পরিক সুবিধার জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুসংহত করার আগ্রহ প্রকাশ করে উভয়পক্ষ।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশকে সমর্থন করায় নেপালের নেতৃত্ব ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা জানান, নেপালসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখাকে তার সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়।
ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর এবং জাতীয় সংসদ পরিদর্শন করে নেপালি প্রতিনিধি দল। সেই সঙ্গে বহু কাঙ্খিত পদ্মা সেতু হয়ে টুঙ্গিপাড়ায় যায় তারা। এজন্য সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকের শুরুতে নেপালের প্রতিনিধি দল তাদের জন্য চমৎকার কর্মসূচি আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানায়।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করেন, নেপাল ও বাংলাদেশ বিগত বছরগুলোতে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক উপভোগ করে আসছে।
তারা উল্লেখ করেন, কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপনে এ বছর উভয় দেশের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। আশা প্রকাশ করেন, দুই দেশ বিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ, পর্যটন, শিক্ষা, আইসিটি, সংযোগ ও জনগণের সঙ্গে যোগাযোগের মতো খাতে সহযোগিতা আরও সুসংহত করতে পারে।
বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করতে নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের সফরের ওপর জোর দেয় নেপালি প্রতিনিধি দল। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে একে অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক বলে অ্যাখ্যা দেয় তারা।
নেপালি প্রতিনিধি দলে ছিলেন সংসদ সদস্য চাঁদতারা কুমারী, ড. দীপক প্রকাশ ভট্ট, দেব প্রসাদ তিমলসেনা, লীলা দেবী সিতৌলা, নারদ মুনি রানা, সরলা কুমারী যাদব প্রমুখ।