আগামী নভেম্বর মাস পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে ৫০ লাখ করে করোনা ভাইরাসের টিকা আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় রাজধানীর মহাখালীতে তিতুমীর কলজে বাংলাদেশ ডেন্টাল সার্জন (বিডিএস) পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে এখনও সিদ্ধান্ত আসেনি। বহু দেশে এ বয়সীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে না। দু’একটা দেশে পরীক্ষামূলকভাবে দেওয়া হচ্ছে এবং ফলাফল লক্ষ্য করা হচ্ছে। আমরাও একই পদ্ধতি অনুসরণ করছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন দিলে আমরাও টিকা দেওয়ার চেষ্টা করবো।
তিনি আরও বলেন, অল্প বয়সীদের সংক্রমণের হারও কম। স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল-কলেজে ক্লাস পরিচালনা করা হবে। করোনার সংক্রমণ বেড়ে গেলে পুনরায় আমরা স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেব। করোনা সংক্রমণের ওপরে সব কিছু খোলা ও বন্ধ নির্ভর করে। সংক্রমণের হার কমেছে বলেই বর্তমানে স্কুল-কলেজ খোলা হচ্ছে। নির্বাচনের কথা ভাবা হচ্ছে।
করোনা ভাইরাসের টিকা প্রসঙ্গ উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) কোভ্যাক্সের আওতায় ১৮ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে। এর আগে তারা আমাদের ১০ লাখ টিকা দিয়েছে। এ মাসে আমরা আশা করছি, চীন থেকে ২ কোটি টিকা পাবো। টিকা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টিকা দেওয়ার কার্যক্রমও জোরদার হবে।
আবারও গণটিকা কার্যক্রম শুরু হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। এখন থেকে প্রতি সপ্তাহে আমরা টিকা পাওয়ার শিডিউল পেয়েছি। আজকেও চীন থেকে ৫০ লাখ টিকা আসার একটা শিডিউল আছে। এ মাসে এমন চারটি শিডিউল রয়েছে। এখন থেকে আগামী নভেম্বর মাস পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে ৫০ লাখ টাকা আসবে।