ইউপি চেয়ারম্যানের অনিয়ম, অভিযোগ দিলেন ৮ সদস্য
নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৮জন সদস্য জেলা প্রশাসকের কাছে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন। ওই অভিযোগে চেয়ারম্যানের বিভিন্ন অপকর্মের ফিরিস্তি তুলে ধরা হয়। বৃহস্পতিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অভিযোগের বিস্তারিত জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ইউনিয়ন পরিষদের ১২জন সদস্যের মধ্যে ৮জন ওয়ার্ড সদস্য। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগকারি ইউপি সদস্যদের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে ৪নং ওয়ার্ড সদস্য সোহেল রানা বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান এম. আর মুজিব নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই একক স্বেচ্ছাচারিতা মাধ্যমে সরকারী অর্থ আত্মসাতের পথ বেছে নিয়েছেন। তিনি ক্ষমতা গ্রহণের পর ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা মোস্তাক উদ্দিনকে অপসারন না করেই তাকে অফিসে আসা বন্ধ করে দেন এবং চেয়ারম্যান তার পছন্দের লোককে অফিসে বসিয়ে জন্ম নিবন্ধন বাবদ প্রতিজন হতে ৫০০টাকা হারে আদায় করে যাচ্ছেন। এর সিংহভাগ টাকা তিনি নিজে আত্মসাৎ করছেন। শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের হোল্ডিং ট্যাক্স বিগত তিন বছরের আদায় ও পাশাপাশি হোল্ডিং নাম্বার প্লেট স্থাপন করে অন্তত ৩১ লাখ টাকা উঠিয়েছেন।এই টাক্স পরিষদের নিজস্ব ব্যাংক হিসাবে জমা না করে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে আত্মসাতের উদ্দ্যেশ্য নিজেই হস্তগত করে রেখেছেন। আমাদেরকে জানান মাত্র ৬ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এছাড়াও টিআর কর্মসূচীর ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা অর্ধেক আত্মসাৎ করেন।শিবপুর ইউপির সংস্কার ও মেরামতের জন্য ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৫ টাকা বরাদ্দ পেয়ে কোন কাজ না করে সব টাকা তিনি নিজেই আত্মসাৎ করেছেন। এই বিষয় গুলো উল্লেখ করে আমরা অভিযোগ দিয়েছি। যতদিন এসব অভিযোগের বিচার না পাব, ততদিন আমরা ইউনিয়ন পরিষদে সকল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবো না। এসময় শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ইউপি সদস্য ইকবাল হোসেন ভুইয়া,৪নং ওয়ার্ডের মো.সোহেল রানা,৫নং ওয়ার্ডের আহসান হাবিব,৭নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ বশির মিয়া,৮নং ওয়ার্ডের ইকবাল ইসলাম , ৯নং ওয়ার্ডের মাসুদ মিয়া,৭.৮.৯ নং সংরক্ষিত আসনের রোকসানা পারভিন,১.২.৩ নং ওয়ার্ডের আছমা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যন এম. আর. মুজিব জানান, একটি গ্রুপ পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। তারা বিভিন্ন মহলে আমার বিরুদ্ধে অপঃপ্রচার চালাচ্ছে।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিকী জানান, বুধবার অভিযোগটি আমার হাতে এসে পৌঁছেছে। তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।