বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশে চালের অভাব নেই, একটি গ্রুপ কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। সয়াবিনসহ কোন তেলের দাম আর বাড়বে না বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি। এসময় মন্ত্রী বলেন, দেশের পাঁচ কোটি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ইউরোপের মতো। আজ বৃহস্পতিবার (২ জুন) বেলা ১১টায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ‘দ্বিতীয় চা দিবস ২০২২’ উপলক্ষে এই ব্রিফিং করা হয়।
টিপু মুনশি বলেন, ‘মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ওয়েস্টার্ন কান্ট্রির মতো। মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ বা প্রায় তিন কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করছে। উচ্চ ক্রয়ক্ষমতার মানুষের জন্য চিকন চাল ও চায়ের মতো পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। অন্যদিকে দরিদ্র শ্রেণির জন্য সরকার টিসিবির মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে তেল-চিনি-ডালের মতো পণ্য সরবরাহ করছে’।
চালের বাজারে হঠাৎ সৃষ্টি হওয়া অস্থিরতার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের চালের মজুদ আছে, যেটা খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, কৃষিমন্ত্রী বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী নিজে ডাইরেক্টলি বলেছেন যে খেয়াল করবেন, ফলোআপ করবেন’। সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় কোনো সহযোগিতা চাইলে তার মন্ত্রণালয় সেটা করবে। বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের অদ্ভূত আচরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মোটা চাল কেনার ক্রেতা কম। কিন্তু মোটা চাল কেটে চিকন করে প্যাকেটজাত করে বিক্রি হচ্ছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে’।
এসময় তিনি জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে সয়াবিন ও পাম অয়েলের আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পুনরায় মূল্য নির্ধারণ করা হবে। আশা করা হচ্ছে পাম অয়েলের দাম কমতে পারে আর সয়াবিনের দাম না কমলে অন্তত বাড়বে না।
চা প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে চায়ের উৎপাদন বেড়েছে, ভোগও বেড়েছে। এজন্য রপ্তানি সম্ভব হচ্ছে না। মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আশরাফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।