শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সাইবার আইনের প্রত্যাহার হচ্ছে ৫৮১৮ মামলা নদী দূষণমুক্ত করা গেলে পরিবেশ উন্নত হবে ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক অফিস আদালত খুলেছে, যানচলাচল স্বাভাবিক ছাগলকাণ্ডে মতিউর ও তার স্ত্রী এবং সন্তানদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত বরুড়ায় মামার বিরুদ্ধে ভাগিনার প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ! মোশারফ প্যারিস অলিম্পিকে ডাক পেলেন অলিম্পিক রিংয়ে সাজবে আইফেল টাওয়ার প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা! বরিশাল প্লে-অফে শক্তিশালী হচ্ছেন রওশন, দুর্বল জিএম কাদের! খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মিনিট পরপর চলবে মেট্রোরেল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন ৪৮ নারী প্রার্থী সিরিজ নির্বাচন করতে চায় ইসি

তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সইয়ের আশ্বাস ভারতের

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : আগস্ট ২৬, ২০২২

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার পানিসম্পদ মন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠকে ৮টি অভিন্ন নদীর তথ্য বিনিময়ে একমত হয়েছে দুই দেশ। এছাড়া তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সইয়ের আশ্বাস দিয়েছে ভারত।

প্রায় এক যুগ পর বৃহস্পতিবার (২৫শে আস্ট) বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৩৮তম পানিসম্পদ মন্ত্রী পর্যায়ের (জেআরসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সইয়ের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয় ভারতকে। এ অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে চুক্তিটি সই করতে ভারতের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে বলে জানানো হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। আর ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির পানিসম্পদমন্ত্রী গাজেন্দ্র সিং সিখাওয়াত। বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি ভারতীয় আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পও উত্থাপিত হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, দুই দেশের অভিন্ন নদী গঙ্গা, তিস্তা, মনু, মুহুরী, খোয়াই, গোমতী, ধরলা, দুধকুমার এবং কুশিয়ারা নদীর যাবতীয় বিষয় উঠে আসে। এ ছাড়া বন্যা-সংক্রান্ত তথ্য বিনিময়, নদীর তীর রক্ষণাবেক্ষণ, অভিন্ন অববাহিকা ব্যবস্থাপনা ভারতীয় আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। অন্তর্র্বতীকালীন পানিবণ্টন চুক্তির জন্য খসড়া তৈরিতে আরও ৮টি অভিন্ন নদীর তথ্য বিনিময়ে জেআরসি বৈঠকে একমত হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত।

বৈঠকে দ্রুত সময়ের মধ্যে কুশিয়ারা নদীর সমঝোতার জন্য বাংলাদেশের পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম অনুরোধ করেন। বিষয়টি ভারতের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে বলে ভারতীয় মন্ত্রী বৈঠকে জানান।

১৯৯৬ সালে করা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তির আলোকে আবারও সম্ভাব্যতা যাচাই করতে বৈঠকে উভয়পক্ষই সম্মত হয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে আগামী সেপ্টেম্বরের ৬-৭ তারিখ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় সফরে ভারত যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ