মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা পৃথক তিন মামলায় মডেল ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গুলশান থানার মামলায় দুই দিন এবং ভাটারা ও খিলক্ষেত থানার মামলায় তিন দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
গুলশান থানার মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে আজ পিয়াসাকে আদালতে হাজির করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গুলশান থানার মামলায় ফের ১০ দিন, ভাটারা থানার মামলায় ১০ দিন এবং খিলক্ষেত থানার মামলায় সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়।
প্রথমে গুলশান থানার মামলায় রিমান্ড শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, ‘এ মামলায় ডিবি পুলিশ পিয়াসাকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু তা কমপ্লিট হয়নি। আবার তদন্ত সংস্থা বদলি হয়েছে। তাকে আবার রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।’
পিয়াসার পক্ষে তার আইনজীবী জামিল সিদ্দিকী বাপ্পি বলেন, ‘পিয়াসাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মাদক তো উদ্ধার হয়ে গেছে। তদন্ত সংস্থা বদলি হলে প্রশাসনিক কারণে তিনি কেন হ্যারেজড হবেন।’
এরপর ভাটারা থানার মামলায় রিমান্ড শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসানের সঙ্গে পিয়াসার যোগসাজশ আছে। তারা একটি চক্র। পিয়াসা মিশুকে টাকা-পয়সা দিয়ে মাদক ব্যবসায় অর্থনৈতিকভাবে সহায়তা করে। মাফিয়া ডন পিচ্চি হান্নানের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা আছে। মুখোশের আড়ালে তারা অপরাধ করে আসছে।’ এ মামলায়ও পিয়াসার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করা হয়।
সর্বশেষে খিলক্ষেত থানার মামলায় রিমান্ড শুনানি হয়। শুনানিতে প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, ‘জিসান একটা ডেইরি ফার্মের মালিক। ডেইরি ব্যবসার নামে তারা মাদক কেনাবেচা করতো। পিয়াসা জিসানকেও টাকা দিয়ে মাদক ব্যবসায় সহায়তা করে।’
তিন মামলার শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত ১ আগস্ট রাতে পিয়াসার বারিধারার বাসায় অভিযান চালিয়ে মদ, ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পর দিন তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।