বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চলবে। এছাড়া মামলাটি বিচারিক আদালতে দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ (রোববার) সকালে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি ইজহারুল হক আকন্দের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই রায় দেন।
২০০৭ সালে জরুরি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার বৈধতা নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে তার বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। আদালত বলেছেন, জোবায়দা রহমান পলাতক থাকায় তার রিট গ্রহণযোগ্য নয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৬শে সেপ্টেম্বর ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করা হয়। মামলায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
পরে একই বছরে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী পৃথক রিট আবেদন করেন। রিটে জরুরি আইন ও এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন। হাইকোর্ট রুল জারি করে স্থগিতাদেশ দেন। এরপর রিট মামলাগুলো ১৯ এপ্রিল কার্যতালিকায় আসে। পরে রুল শুনানির জন্য দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট।
সম্প্রতি জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা নিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের পর এই মামলার রুল শুনানির উদ্যোগ নেয় দুদক। এদিকে, জিয়া পরিবারকে হেনস্থা করতেই মামলার শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তারেক রহমানের আইনজীবী।