শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদ ও এর আশপাশের এলাকায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। শনিবার (১৬ অক্টোবর) পল্টন ও রমনা থানায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়। উভয় মামলার বাদী পুলিশ।
মামলার এজাহারে ‘কুমিল্লার ঘটনার জেরে পল্টন থানা এলাকায় নাশকতা, ভাঙচুর, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট, সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার’ কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযুক্ত করা হয়েছে চার হাজার জনকে। দুই থানায় এ পর্যন্ত মোট ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ও পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর পৃথকভাবে মামলা দুটির কথা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম থেকে কয়েকশ মুসল্লি মিছিল নিয়ে কাকরাইলের নাইটিংগেল মোড়ের দিকে গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। পরে পুলিশ টিয়ার শেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় পাঁচ পুলিশসহ নয়জন আহত হন।
মামলার বিষয়ে পল্টন থানার ডিউটি অফিসার জানান, তাদের থানার মামলায় খেলাফত আন্দোলনের একাংশের আমির জাফরুল্লাহ খানকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও এই দলের আরও ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আড়াই হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
রমনার ওসি মনিরুল বলেন, নাইটিংগেল ও কাকরাইল মোড়ে নাশকতার ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই ১০ জনের নাম উল্লেখসহ রমনা থানায় মোট দেড় হাজার অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।