রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সাইবার আইনের প্রত্যাহার হচ্ছে ৫৮১৮ মামলা নদী দূষণমুক্ত করা গেলে পরিবেশ উন্নত হবে ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক অফিস আদালত খুলেছে, যানচলাচল স্বাভাবিক ছাগলকাণ্ডে মতিউর ও তার স্ত্রী এবং সন্তানদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত বরুড়ায় মামার বিরুদ্ধে ভাগিনার প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ! মোশারফ প্যারিস অলিম্পিকে ডাক পেলেন অলিম্পিক রিংয়ে সাজবে আইফেল টাওয়ার প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা! বরিশাল প্লে-অফে শক্তিশালী হচ্ছেন রওশন, দুর্বল জিএম কাদের! খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মিনিট পরপর চলবে মেট্রোরেল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন ৪৮ নারী প্রার্থী সিরিজ নির্বাচন করতে চায় ইসি

ডলারের বিপরীতে টাকার ১৭তম অবমূল্যায়ন

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : জুলাই ২, ২০২২

ডলারের বিপরীতে অব্যাহতভাবে মান হারাচ্ছে টাকা। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার আবারো ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে দাঁড়িয়ে ৯৩ টাকা ৪৫ পয়সায়। ফলে গত তিন মাসের ব্যবধানে ৯ দফা বাড়ানো হয়েছে ডলারের দাম। আলোচ্য সময়ে টাকার মান কমেছে ৭ টাকা। আর চলতি বছর ডলারের বিপরীতে টাকার ১৭তম অবমূল্যায়ন হয়েছে।

এর আগে গত ২৯শে মে দেশে ডলারের এক রেট ৮৯ টাকা বেঁধে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু পরবর্তীতে এই রেট উঠিয়ে দিয়ে ডলারের দর বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়। মাঝে দুই বার শক্তিশালী হয়েছিল টাকা। কিন্তু বেশি দিন স্থায়ী হয়নি।

এদিকে গত মাসে ডলারের দাম বেড়ে খোলা বাজারে ১০২ টাকা অতিক্রম করে রেকর্ড গড়েছিল। পরে কিছুটা কমে বর্তমানে খোলা বাজারে ৯৮ থেকে ৯৯ টাকায় ডলার বেচা-কেনা হচ্ছে। ফলে আমদানিকারকদের ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। তবে রপ্তানি ও প্রবাসীদের রেমিট্যান্স আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে।

চলতি অর্থবছরের আগস্ট থেকে ১৬ই জুন পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে ৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি সরবরাহ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

চলতি বছরের ৬ই জানুয়ারি পর্যন্ত আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার কেনা-বেচা হয়েছিল ৮৫ টাকা ৮০ পয়সা, যা ৯ই জানুয়ারি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬ টাকা। গত ২৩শে মার্চ তা বেড়ে ৮৬ টাকা ২০ পয়সায় বেচা-কেনা হয়। এর পর গত ২৭শে এপ্রিল ডলার প্রতি ২৫ পয়সা বেড়ে ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সায় বেচা-কেনা হয়।

গত ১০ই মে ডলার প্রতি আরও ২৫ পয়সা বেড়ে ৮৬ টাকা ৭০ পয়সায় বেচা-কেনা হয়। গত ১৬ই মে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার কেনা-বেচা ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর ২৩শে মে ফের ৪০ পয়সা বাড়িয়ে ডলারের দাম ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এরপরও বাজার স্থিতিশীল হয়নি।

পরে সংকট নিরসনে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস এসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সংগঠন এসোসিয়েশন অব ব্যাংকারস, বাংলাদেশের (এবিবি) দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯শে মে বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম ৮৯ টাকা বেঁধে দেয়।

আর আমদানিকারকদের কাছে বিক্রির জন্য বিসি সেলিং রেট নির্ধারণ করা হয় ৮৯ টাকা ১৫ পয়সা। কিন্তু তাতেও বাজার স্থিতিশীল না হওয়ায় ডলারের এক রেট উঠিয়ে দিয়ে গত ২রা জুন আরও ৯০ পয়সা বাড়িয়ে দাম ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। গত ৬ই জুন প্রতি ডলার ৯১ টাকা ৫০ পয়সা।

গত ৭ই জুন ডলার ৯১ টাকা ৯৫ পয়সা, ৮ই জুন ৯২ টাকা এবং গত ১৩ই জুন ডলারের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৯২ টাকা ৫০ পয়সায়। গত ১৫ই জুন ডলার দাম ছিল ৯২.৮০ টাকা। গত ২১শে জুন ডলারের দাম বেড়ে ৯২.৯০ টাকা, পরদিন তা বেড়ে ৯২.৯৫ টাকা বিক্রি হয়। ২৮শে জুন ডলারের দাম বেড়ে ৯৩.৪৫ টাকা বিক্রি হয়েছে, যা ডলারের দামের সর্বোচ্চ রেকর্ড। মাঝে গত ৮ই জুন এক দিনেই ডলারের বিপরীতে টাকার মান বাড়ে ০.৫০ পয়সা। এর আগেও একদিন বেড়েছে ছিল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ