টেক্সাসের মধ্যাঞ্চলে সান আন্তোনিওতে সড়কের পাশে সোমবার পরিত্যাক্ত একটি ট্রাক্টর-ট্রেলারের ভেতরে এবং আশেপাশে অন্তত ৪৬ জন অভিবাসীর মৃতদেহ পাওয়া গেছে। কর্তৃপক্ষ এ কথা জানায়।
এটি ছিল অভিবাসীদের সঙ্গে জড়িত সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের একটি। মেক্সিকান সীমান্ত থেকে কয়েক ঘন্টা পথের দূরত্বের একই শহরে একই রকম মারাত্মক দুর্ঘটনার ৫ বছর পর এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটলো।
সান অন্তোনিও ফায়ার চিফ চার্লস হুড সাংবাদিকদের জানান, ‘এই সময় আমরা অন্তত ৪৬টি মৃতদেহ আলাদাভাবে চিহ্নিত করে সংরক্ষণ এবং তাদের মৃত ঘোষণা করেছি।’
তিনি বলেন, ১৬ জনকে জীবিত ও সচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদের ১২ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং ৪ জন শিশু ।
হুড বলেন, ‘আমরা যে রোগীদের দেখেছি তাদের শরীর স্পর্শে গরম অনুভূত হয়েছে, তারা হিট স্ট্রোকে ভুগছিল, তারা চরম শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতায় ভুগছিল, যানবাহনে পানির কোন চিহ্ন নেই, এটি ছিল একটি রেফ্রিজারেটেড ট্রাক্টর-ট্রেলার কিন্তু সেখানে কোন দৃশ্যমান এসি ইউনিট ছিল না।’
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
সান আন্তোনিও মেক্সিকো সীমান্ত থেকে ২৫০ কিলোমিটার (১৫০ মাইল) দূরে অবস্থিত, এটি মানব পাচারকারীদের একটি প্রধান পথ।
গাড়িটি হাইওয়ে ১-৩৫ এর কাছে একটি রাস্তায় পাওয়া গেছে, যা মেক্সিকো সীমান্ত পর্যন্ত প্রসারিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রধান সড়ক। পুলিশ, ফায়ার ফাইটার ও অ্যাস্বুলেন্স নিয়ে ঘটনাস্থলে ব্যাপক অভিযান চলছে।
অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর নীতির পক্ষে থাকা টেক্সাসের রিপাবলিকান গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট এই বিপর্যয়ের জন্য জো বাইডেনের ‘সীমান্ত খোলা রাখার মারাত্মক’ নীতির সমালোচনা করেছেন।
অ্যাবট বলেন,‘এই মৃত্যুর দায় বাইডেনের উপর বর্তায়’। তারা সীমান্তে আইন প্রয়াগকারীদের কড়াকড়ি শিথিল করেছে।
সান অ্যান্তেনিওতে ২০১৭ সালে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে, তখন ভাঙ্গা এয়ারকন্ডিশনসহ একটি ট্রেলাওে শ্বাসরোধ হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়।